ঢাকা: রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে লাগা আগুনের ঘটনায় নিহত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলামের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মরদেহ নেন নিহতের বাবা নজরুল ইসলাম।
নাজমুলের মরদেহ হস্তান্তরের মাধ্যমে আগুনের ঘটনায় নিহত ৪৬ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেল ৩ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গ থেকে নাজমুলের মরদেহ হস্তান্তর করেন সিআইডি ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পরিদর্শক মাসুদ পারভেজ। তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাজমুলের বাবা নজরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ১২ দিন পর ছেলের মরদেহ পেলাম। আমরা প্রথম দিনই ছেলের মরদেহ সনাক্ত করেছিলাম। অন্য এক পরিবারও মরদেহ তাদের স্বজনের দাবি করায় সনাক্তের বিষয়টি ডিএনএ পরীক্ষা পর্যন্ত গড়ায়। আজকে ডিএনএ নমুনা মিলে যাওয়ায় ছেলের মরদেহ পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আর কোনো বাবা যেন তার ছেলে না হারান। অনুরোধ করবো যারা ভবনের মালিক বা ব্যবসায়ী আছেন তারা যেন সাবধান হয়ে যান। ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে, সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। আমার ছেলের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
নাজমুলদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার নলবুনিয়া কান্দি গ্রামে। যাত্রাবাড়ী কাজলা নিজেদের বাড়িতে বসবাস করে তার পরিবার। তবে নাজমুল থাকতেন রামপুরা বনশ্রী সি ব্লকের ৩ নম্বর রোডের একটি বাসায়। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সে অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি।
নিহতের মামা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন চার বন্ধু মিলে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে খেতে গিয়েছিলেন নাজমুল। আগুনের ঘটনায় তারা দুই বন্ধু নিহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৪
এজেডএস/এমজে