ঢাকা: প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু আন্দোলন সংগ্রাম করে দেশ স্বাধীন করেছেন। এমনকি জীবন দিয়ে দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেছেন।
রোববার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পস্তবক অর্পণ ও অনুষ্ঠানের পরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর সুপ্রিম কোর্ট ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে অবস্থিত ‘স্মৃতি চিরঞ্জীব’ স্মারক সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। এ সময় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তাবৃন্দ।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জাজেস লাউঞ্জে শিশুদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, আজকের এই দিনটিকে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়েছে এই কারণে যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে প্রতিভা ছিল, যে প্রতিভার বিকাশ ঘাটিয়ে তিনি উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছেন, তিনি যে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যেভাবে একটি জাতির জন্ম দিয়েছেন, সারা পৃথিবীতে এই প্রথম বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন বাংলাদেশ। এর পেছনে তার যে অবিরাম স্ট্রাগল সেটি শিশুদেরকে বোঝান দরকার।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু একদিনে হয়ে ওঠেননি। তিনি যখন শিশু ছিলেন তখন থেকেই তার মধ্যে সে প্রতিভা বিকশিত হতে থাকে। শিশুকালের সহমর্মিতা, বন্ধুর প্রতি সহযোগিতা, বিপদে বন্ধুর প্রতি হাত বাড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি চারিত্রিক গুণাবলি বঙ্গবন্ধুর মধ্যে ছিল।
একটি অসাম্প্রদায়িক শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার আশা প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, আজকে এখানে আমরা সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই আমরা যেন সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ তৈরি করতে পারি। কেননা ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সুখ শান্তিতে বসবাস করার পূর্ব শতই হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে জাগিয়ে তোলা।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত শিশুদের মাঝে চকলেট বিতরণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৪
ইএস/এমজে