নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে শহীদ সরণি সড়ক বিভাজক ও পার্ক থেকে চুরি হচ্ছে গ্রিল। এরই মধ্যে চুরি গেছে বিভাজকের অভ্যন্তরের পার্কের গার্ডেন লাইট, দোলনা ও ব্যালেন্স দোলনাসহ অন্যান্য সামগ্রী।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সৈয়দপুর বিমানবন্দর সড়ক ও উপজেলা পরিষদের যাতায়াতের সড়কের মধ্যবর্তী স্থানে শহীদ স্মরণীর অবস্থান। দেখতে অনেকটা ব-দ্বীপের মতো। এর মধ্যে রয়েছে মনোরম একটি পার্ক। পার্কের উভয় পাশে বসানো রয়েছে কংক্রিটের চেয়ার। ১০ বাই ১২ ফিটের গ্রিল দিয়ে পার্কের বেষ্টনীতে এক পিলারের সঙ্গে আরেক পিলার যুক্ত। এসব গ্রিলের মধ্যে ৩২টি গ্রিল এরই মধ্যে নিয়ে গেছে চোর চক্র। এছাড়া দোলনা, ব্যালেন্স দোলনা, গার্ডেন লাইট ও অন্যান্য লোহা দিয়ে তৈরি উপকরণও নিয়ে গেছে চক্রটি।
এলাকাবাসী জানায়, ২০১১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ওই সড়ক দ্বীপটি তৈরি করেন। শহরের ভিআইপি সড়ক বলে পরিচিত শহীদ ক্যাপ্টেন সামসুল হুদা সড়কটি শহীদ স্মরণীতে এসে বিভক্ত হয়ে একটি অংশ সৈয়দপুর বিমানবন্দর ও সেনানিবাস ও অপরটি সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ ও ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ হয়ে পার্বতীপুর সড়ক মোড়।
শহীদ সরণি ছিল অপূর্ব একটি পার্ক। যা এলাকার সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছিল। গরম ও অবসরে সবাই সময় কাটাতেন। স্ট্রিট লাইটের আলো থেকে কীভাবে পার্কের জিনিসপত্র চুরি হলো তা মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। বিষয়টি তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।
সৈয়দপুর পৌরসভা সূত্র জানায়, শহীদ সরণি এলাকাটি সিসি ক্যামেরার আওতায় নেই। এই সুযোগে চোরেরা মূল্যবান ইস্পাতের গ্রিলগুলো চুরি করে নিয়েছেন। গত এক মাসে প্রায় আড়াই লাখ টাকা মূল্যের ইস্পাতের গ্রিল চুরি হয়ে গেছে। চুরি বন্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বলেন, শহীদ সরণি সৌন্দর্য নষ্ট হতে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে এলাকাটি সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ সরণি পার্কের চুরির বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা করা হয়েছে। পুলিশ চুরির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৬ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৪
এসএম