ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

শেষ সময়ে হাটে ঢুকছে গরুর ট্রাক, খাসির বিক্রি জমজমাট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২৪
শেষ সময়ে হাটে ঢুকছে গরুর ট্রাক, খাসির বিক্রি জমজমাট

ঢাকা: আগামীকাল সোমবার (১৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত চলবে ঢাকার পশুর হাটগুলো।

রোববার (১৬ জুন) শেষ দিনের হাটে কোরবানির পশু কিনতে ভিড় জমিয়েছেন ক্রেতারা। দুপুরের পর হাটগুলোয় সংকট দেখা দিলেও বিকেল হতে নতুন করে গরু আসা শুরু হয়। সন্ধ্যা থেকে জমতে শুরু করে খাসির হাট।

রোববার বিকেলের পর রাজধানীর কয়েকটি হাট ঘুরে নতুন আসা গরু ও ব্যাপক হারে ছাগল-খাসি বিক্রি হতে দেখা গেছে।

হাট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুপুরের দিকে কোরবানির পশুর পরিমাণ কিছুটা কম থাকলেও দুপুরের পর থেকে প্রচুর ট্রাক ঢুকেছে। নানা আকারের গরু এসেছে। তাছাড়া ছাগল বিক্রিও বেড়েছে প্রচুর।

শাহজাহানপুর মৈত্রী সংঘ মাঠে আয়োজিত হাটের ৩ নম্বর হাসিল কাউন্টারের সুপারভাইজার মো. তাহেরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সারারাত পশু বিক্রি চলবে। দুপুরে হঠাৎ গরু বিক্রি কমে যায় সংকটের জন্য। বিকেলে প্রচুর গরু এসেছে। অনেক গরু হাসিল হতে দেখেছি। সন্ধ্যা থেকে ছাগলের হাট জমে উঠেছে। কারণ, শেষ দিনের হাটে ছাগলের বিক্রি বেড়ে যায়।

তিনি বলেন, বিকেল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০টিরও বেশি গরুবাহী ট্রাক ঢুকেছে। রাতে আরও আসবে। এশার নামাজের পর বিক্রির চাপ বহুগুণে বাড়বে।

তার সঙ্গে কথা বলার পর শাহজাহানপুর হাটে একটি গরুর ট্রাক ঢুকতে দেখা যায়। সেটি নিয়ে জামালপুর থেকে নিয়ে এসেছেন ইউনুছ ব্যাপারী। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা দুই বন্ধু মেরাদিয়া ও শাহজাহানপুরের হাটে আগেও গরু নিয়ে এসেছিলাম। গতকাল সবগুলো বিক্রি হয়ে গেছে। আজকে হাটে গরুর চাহিদা অনেক বেশি দেখা দেয় দুপুর থেকে। আমাদের সঙ্গীরা জানালো, লোকজন চাহিদা মাফিক গরু পাচ্ছে না। সব বড় গরু। এলাকায় আমাদের খামার আছে। সেখান থেকে ছোট গরু নিয়ে এসেছি।

এ হাট থেকে ১১ হাজার টাকায় তিনটি খাসি কিনেছেন বাসাবোর বাসিন্দা সোলায়মান হোসেন সবুজ। শেষ সময়ে হাটের কি অবস্থা দেখেছেন জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, হাটে এখন নতুন করে গরুর ট্রাক আসা শুরু করেছে। হাটে গরু ছাগলের চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা বেশি। আমি ছাগল কিনেছি ছেলে মেয়ের আকিকা দেওয়ার জন্য।

একই হাল মেরাদিয়ায়। দুপুর থেকে সেখানকার হাটেও গরুর সংকট ছিল। সন্ধ্যার পর হাটে গরুর সংখ্যা বেড়েছে। প্রায় সবই ছোট আকারের গরু।

মেরাদিয়া হাটের হাসিলদার বলেছেন, সকাল থেকে গরু বেশ বিক্রি হয়েছে। শেষ দিন হওয়ায় ক্রেতা সংখ্যা বেড়ে যায় বড় গরুর চাহিদা নেই। হাটে বেশিরভাগ বড় গরুই রয়ে গেছে। ছোট গরু শেষ হয়ে গিয়েছিল। নতুন করে গরু এসেছে। ছাগলের বিক্রির অনেক ভালো। বাজার জমজমাট।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২৪
ইএসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।