ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে পাকিস্তান দীর্ঘশ্বাস ফেলে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৬ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৪
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে পাকিস্তান দীর্ঘশ্বাস ফেলে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে ফলে বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। যার ফলে পাকিস্তান বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে হা-হুতাশ করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (২৪ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। এসময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে ফলে দেশে আজ ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে, অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে দেশ। পাকিস্তান আমাদের দিকে তাকিয়ে হা-হুতাশ করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। আজকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজার সহিংসতা হচ্ছে, পৃথিবী আজ টালমাটাল, এসমস্ত কারণে সমগ্র বিশ্ব আজ মূল্যস্ফীতিতে আক্রান্ত। তারপরেও প্রধানমন্ত্রী নানা উদ্যোগের কারণে  আমাদের মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অনেক সমালোচক বলে বেড়াচ্ছে এই বাজেট উচ্চাভিলাসী, এ বাজের বাস্তবায়ন অযোগ্য, জনবিরোধী দিকনির্দেশনা নেই। যদি বাজেটে দিক নির্দেশনা না থাকতো তাহলে দেশে দারিদ্র্যতা ৪৮ শতাংশ থেকে ১৮.৫ শতাংশে কেন নেমে আসলো। অতিদারিদ্রতাও ২৫ থেকে ৫ শতাংশে নেমে আসছে। ১০ কোটি মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তার মধ্যে আনা হয়েছে। আমরা একটি মানবিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চাই।  

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে দেশে বিদেশে, নির্বাচনটা যাতে না হয় এবং বানচাল করার চেষ্টা হয়। সেটাতে ব্যর্থ হয়ে এখন তারা সরকার যাতে গ্রহণযোগ্য না হয় সেজন্য বিএনপিসহ তাদের সহযাত্রী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান চেষ্টা করেছে , কিন্তু সব ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে ট্যাক্স দেওয়া মানুষের সংখ্যা তেমন বাড়েনি।  ট্যাক্স ও জিডিপির অনুপাত অনেক কম। ট্যাক্স ধার্য করার জন্য তিনি ১০০ টাকা দিয়ে ট্যাক্স ফাইল করার দাবি জানান। সবার জন্য অন্তত ৫০ টাকা হলেও ট্যাক্স ফাইল করার বিধান জারি করা উচিত। এবারের বাজেটে দিকনির্দেশনা রয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য প্রচেষ্টা আছে, এ বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। বাজেটে নিত্যপণ্য আমদানির জন্য উৎস কর কমানো হয়েছে। বড় বাজেট বাস্তবায়নের ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে, দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে।  

এসময় তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মূল্যস্ফীতির তুলনা দেন। ২০০৮ সালে মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৬০০ ইউএস ডলার, বিএনপির সময় ছিল ৫৪৩ ডলার। আজকে মাথাপিছু আয় ২৮০০ ইউএস ডলারের কাছাকাছি। আজকে সমালোচনার জন্য দেশে সব ধরনের বিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ আছেন, তারা বিশেষ কারণে অজ্ঞ বিশেষজ্ঞ, বিশেষ উদ্দেশ্যে অজ্ঞ বিশেষজ্ঞ।

বাংলাদেশ সময়: ২২২৬ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৪
এসকে/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।