ঢাকা: মাদক নিয়ন্ত্রণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে আমাদের যুবসমাজকে রক্ষা করা সহজ হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান৷
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, আমরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজিয়েছি৷ আগে 'ঠুঁটো জগন্নাথ' এর মতো মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কাজ করত৷ আমরা প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় এখন দেশব্যাপী এর ব্যাপ্তি ঘটিয়েছি।
সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে থেকেও কক্সবাজার, টেকনাফ এবং সাভারের বেদে পল্লীতে মাদক অবাধে সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টেকনাফের পাশেই মিয়ানমারের অবস্থান৷ ইয়াবার মূল সাপ্লাইয়ার এ মিয়ানমার৷ আমি মিয়ানমারের রাষ্ট্রের প্রধানের সঙ্গেও দেখা করেছি৷ তার কাছে আমরা অনুরোধ করেছি৷ এখন ওই দেশের বর্তমান অবস্থা তো আপনারা জানেন৷ ওখানে যুদ্ধ চলছে৷ শুধু আরাকান আর্মি নয়। সেখানে আরো কয়েকটা গ্রুপ যুদ্ধ করছে৷ কাজেই তাদের সঙ্গে এ মুহূর্তে আমাদের যোগাযোগটা তেমন নেই৷
তিনি বলেন, আমাদের বিজিবি এবং কোস্টগার্ড সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে মাদকের এ সাপ্লাই বন্ধ করার জন্য৷ এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে আমাদের নজরদারি রয়েছে৷ আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি৷ আমাদের এপিবিএন, কোস্টগার্ড, বিজিবি এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন প্রচেষ্টা নিয়েছে সে জায়গাটা মাদকমুক্ত করার৷ এছাড়া সাভার বেদে পল্লীতে মাদকের কথা আমি নতুন শুনেছি এটাও দেখবো৷
এদিকে জাতীয় এবং মেট্রো/জেলা কার্যালয়/বিশেষ জোন এলাকায় মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষ্যে বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৪
জিসিজি/জেএইচ