ঢাকা, রবিবার, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩১, ১১ আগস্ট ২০২৪, ০৫ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

কোটা আন্দোলনে বাধা দেওয়ার ভিডিও ধারণ, শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৪
কোটা আন্দোলনে বাধা দেওয়ার ভিডিও ধারণ, শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ

কুমিল্লা: কোটা আন্দোলনে বাধা দেওয়ার ভিডিও করায় এক শিক্ষার্থীকে তুলে ভিক্টোরিয়া কলেজের হলে নিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।   এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এতে চারজনের নাম উল্লেখসহ মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে নালিশ করেছেন ভুক্তভোগী।

শুক্রবার (১৩ জুলাই) ঘটনাটি ঘটে। শনিবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী তানিম আহমেদের বাবা আলী আসাদ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন।

তিনি বলেন, নির্যাতনের শিকার তানিম ভিক্টোরিয়া কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি কলেজ সাংবাদিক সমিতির সদস্য।   নির্যাতনের ঘটনায় তার বাবা অজ্ঞাতনামা ১৬ ও চারজনের নাম উল্লেখ করে মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ মাস্টার্স শেষ পর্বের ছাত্র হাবিব গাজী, মাস্টার্স সমাজকর্ম বিভাগের সফিউল্লাহ, স্নাতক ইংরেজি বিভাগের এইচ এম তানভীর, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সাজ্জাদ হোসেন।

আলী আসাদ বলেন, তানিমকে তারা নজরুল হলের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রাখে। এসময় তাকে বেদম প্রহার করা হয়। রক্তাক্ত জখমে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তার পিঠে শক্ত লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির নখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করেছে জড়িতরা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে বাঁ হাতে গভীর জখম করেছে। বাঁ ঘাড়, হাত, বাঁ চোখের কোণায় আঘাত করেছে। হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথায় আঘাত করলে সে স্মৃতি হারিয়ে ফেলে। এরপর থেকে তানিম এলোমেলো কথা বলছে। ঘটনার সময় তাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে মিথ্যা জবানবন্দি আদায় করে তাদের মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। তানিমের হাতের ব্যবহার করা মোবাইলটি তারা আটক করে রাখে এবং তার পকেটে থাকা প্রায় ছয় হাজার টাকা তারা নিয়ে যায়।

আহত তানিম জানান, শুক্রবার বিকেল ৩টায় কলেজের বঙ্গবন্ধু মুর‍্যালের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কর্মসূচি করা ছাত্রদের ভিডিও ধারণ করছিলেন তিনি। এ সময় কলেজের আবাসিক নজরুল হলের কয়েকজন ছাত্র তার মোবাইল কেড়ে নিয়ে যায়। মোবাইল দেবে বলে তাকে কলেজের ধর্মপুর ক্যাম্পাসের ডিগ্রি শাখার একমাত্র আবাসিক নজরুল হলে নিয়ে যায়। সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা নির্যাতনের পর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

কলেজ অধ্যক্ষ ড. আবু জাফর খান বলেন, বিষয়টি আমি ঢাকা থাকতে জেনেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হলের প্রভোস্টকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৪
এমজে

 
 

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।