ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ ভাদ্র ১৪৩১, ২০ আগস্ট ২০২৪, ১৪ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

নীলফামারীতে ক্লুলেস হত্যা মামলার চার আসামি গ্রেপ্তার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৪
নীলফামারীতে ক্লুলেস হত্যা মামলার চার আসামি গ্রেপ্তার

নীলফামারী: যাত্রীবেশে চেতনানাশক খাইয়ে ব্যাটারিচালিত ভ্যানচালক আব্দুস সামাদ ওরফে আব্দুল্লাহ (৬০) হত্যা মামলার রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোকবুল হোসেন।  

এর আগে রোববার (১৪ জুলাই) আসামি রফিকুল ইসলাম (২৮) ও ফারুক হোসেনকে দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার আলোক দিহি গ্রাম থেকে এবং বাবু মিয়া (৩০) ও মফিজুল ইসলাম ওরফে হাজিকে জেলা সদরের কুন্দুপুকুর ইউনিয়নের সুটিপাড়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে হত্যার কাজে ব্যবহৃত চেতনানাশক ওষুধসহ চুরি যাওয়া ব্যাটারিচালিত ভ্যান জব্দ করা হয়।  

অনুসন্ধানে জানা যায়, তাদের নামে বিভিন্ন থানায় চুরি ও ছিনতাই মামলাও রয়েছে।  

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, সদর উপজেলার টুপামারি ইউনিয়নের নিত্যানন্দী বর্মতল গ্রামের মৃত খট্টু মাহমুদের ছেলে আব্দুল্যা ঘটনার দিন গত ৮ জুলাই গ্রেপ্তার আসামিরা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে জেলার ডোমার উপজেলার ধরণীগঞ্জ বাজারে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামি বাবু মিয়া ও মফিজুল ইসলাম কৌশলে জুসের মধ্যে চেতনানাশক মিশিয়ে তাকে খাওয়ান। পরে আব্দুল্যা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আসামিরা ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যান।

খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন আব্দুল্যাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) নিয়ে গেলে পরের দিন সোমবার (৯ জুলাই) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।  

পরে এ ঘটনায় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ সুপার, সদর সার্কেলের নির্দেশে পুলিশের চারটি চৌকস টিম ও জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম ওই ক্লুলেস মামলার আসামি ও ব্যাটারিচালিত ভ্যান ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করতে সামর্থ্য হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, সোমবার বিকেলে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী জেলা জেলা কারাগারে পাঠানো হবে। তাদের রিমান্ড আবেদন করা হবে।

পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুপার মোস্তফা মঞ্জুর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) আমিরুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলামসহ এই অভিযান পরিচালনা করেন পুলিশ সদস্যরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।