ঢাকা: কোটা আন্দোলনের অস্থিরতা কাটিয়ে প্রায় এক সপ্তাহ পর কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই যানবাহন চলতে শুরু করলেও আধা ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ থেকে ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বর মোড়, মিরপুর-সেনানিবাস স্টাফরোড, স্টাফরোড-বনানী ও প্রগতি সরণিতে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সকাল ১০টায় কারফিউ শিথিল হওয়ায় সব ধরনের গাড়ি সড়কে নেমে আসে। এক সপ্তাহের বেশি সময় ঘরে আটকে থাকা মানুষ একসঙ্গে বের হওয়ার ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
কারফিউ শিথিলের সময়ে আজ বেলা ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত বিভিন্ন অফিস খোলা থাকছে।
কিন্তু যানবাহন পেতে দেরি হওয়ায় এবং যানজটে পড়ে অনেকে সময়মতো কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারছেন না। কখন পৌঁছাতে পারবেন তারও নিশ্চিয়তা নেই।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে প্রাইভেট কারে বনানী যেতে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন এক যাত্রী। অন্য দিন এই পথ যেতে সময় লাগে আধাঘণ্টা।
সকাল ১০টার পর মিরপুরে অলিগলি থেকে গাড়ি বের হয়ে মিরপুর-১৪ নম্বরে আটকে যায়। পুলিশকে এসময় যানবাহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হিমশিম খেতে দেখা যায়।
একই অবস্থা তৈরি হয় ইব্রাহীমপুর বাজারের সামনে। পুরো সড়ক জুড়েই যেন গাড়ি আটকে আছে।
দীর্ঘ জ্যাম তৈরি হয় সেনানিবাসের ওপর দিয়ে উড়াল সড়কেও।
এদিকে স্মরণকালের দীর্ঘ যানযট হয়েছে বিমানবন্দর সড়কে। নিকুঞ্জের সামনে থেকে বনানী ছাড়িয়ে গেছে গাড়ির লাইন।
গুরুত্বপূর্ণ সড়কে নিরাপত্তা জনিত কারণে পুলিশ আটকে রাখায় যানজট আরও বেড়েছে।
একই ধরনের যানজট দেখা গেছে গুলিস্তান, পল্টন, গুলশান-হাতিরঝিলের মুখ থেকে তেজগাঁও লিংক রোড পর্যন্তও।
কোটা আন্দোলনের নামে সহিংসতা ঠেকাতে গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। একই সঙ্গে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৪
জেডএ/এসআইএস