সিরাজগঞ্জ: শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনকে ঘিরে নাশকতা ও সহিংসতার অভিযোগে গত এক সপ্তাহে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ছয়টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ১৩০ জনের নাম উল্লেখসহ আসামি করা হয়েছে প্রায় এক হাজার জনকে।
এদিকে এ ছয় মামলা ছাড়াও বিভিন্ন নাশতকতার মামলায় জেলাব্যাপী অভিযান চালিয়ে সাতদিনে বিএনপি-জামায়াতের ১৪১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, গত এক সপ্তাহে পুলিশের কাজে বাধাদান, ফাঁড়িতে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে সদর থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। গত ১৭ জুলাই উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহাগ বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৭০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। ১৯ জুলাই এসআই মুস্তাকিন বাদী হয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণের অভিযোগে ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ ৯০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ২০ জুলাই পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে এসআই দানিউল বাদী হয়ে ৩৩ জনের নাম উল্লেখসহ ৯০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এছাড়া ২৩ জুলাই বহুলী ইউনিয়নের মাহবুবুর রহমান মুক্তা নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে তার ওপর হামলা এবং বেইলি ব্রিজ ভাঙচুর ও গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩৫ জনকে আসামি করা হয়। এসব মামলায় এ পর্যন্ত ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কামারখন্দ থানার ওসি মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, ১৮ জুলাই বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়ক অবরোধ করে সহিংসতার অভিযোগে এসআই রমেন বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এসব মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অপরদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, কড্ডার মোড় অবরোধ করে পুলিশের কাজে বাধাদান ও নাশকতার অভিযোগে এসআই আলমগীর বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ ৩০০/৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মণ্ডল বলেন, এসব মামলায় এ পর্যন্ত ১৪১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৪
এসআই