ঢাকা, সোমবার, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২৪
ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

নোয়াখালী: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করেছে আন্দোলনকারীরা।  

সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের রাজাপুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

 

স্থানীয়রা জানায়, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর পেয়ে আন্দোলনকারীরা তার বাড়িতে হামলা চালায়। তবে ওই সময় তার বাসভবন বন্ধ ছিল। ওই ঘরে থাকতেন কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা। তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগের কথা শুনে স্বপরিবারে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।  

এরআগে, বিকেল ৫টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা। এছাড়াও কোম্পানীগঞ্জে প্রায় শতাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযাগের ঘটনা ঘটায় আন্দোলনকারীরা।  

অপরদিকে, একই দিন সকালে নোয়াখালীর জেলা শহরের বিভিন্ন সড়কে মিছিল নিয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয় হাজার হাজার মানুষ। পরে বেলা দেড়টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমর্থনকারীরা মাইজদী শহরে বিজয় মিছিল করে। এরআগে, সকালে জেলা পরিষদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়, সোনাপুর রেলস্টেশন সহ একাধিক আওয়ামী নেতার বাসভবন ও অফিসে হামলা ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। তবে ওই সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের মাঠে দেখা যায়নি।

স্থানীয়রা আরও জানায়, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমর্থনকারীরা সদর উপজেলার সোনাপুর এলাকায় জড়ো হয়।  এরপর তারা সাড়ে ১০টার দিকে সোনাপুর রেলস্টেশনে হামলা চালায়। একই সময়ে নোয়াখালী পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাসিম উদ্দিন সুনামের বাসায় হামলা চালায়। সেখান থেকে জেলা শহরের রশীদ কলোনিতে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীনের ৩টি বাসায় হামলা ও ভাঙচুর চালায় আন্দোলনকারীরা। বাসার নিচে থাকা একটি পিকআপ ভ্যানেও অগ্নিসংযোগ করে আন্দোলনকারীরা।  

স্থানীয়রা জানায়, সকালে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কামাল উদ্দিন ওরফে সিএনজি কামালের সোনাপুর লিংক রোডের অফিসে ও শ্রমিক নেতা রাশেদ উদ্দিনের জেলা পরিষদের সামনের অফিসে হামলা ও অফিস থেকে জিনিসপত্র বের করে আগুন দেয়া হয়।  

যোগােযোগ করা হলে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, আমাকে হত্যা করার জন্য এ হামলা চালানো হয়। হামলার সময় আমি বাসায় ছিলাম। পরে স্থানীয় লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা রুখে দাঁড়ালে হামলাকারীরা চলে যায়।

এবিষয়ে জানতে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের মোবাইলফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ০২৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২৪
এসএএইচ 


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।