ঢাকা, সোমবার, ১২ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ করার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪
চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ করার দাবি

ঢাকা: আন্তজার্তিক মানদণ্ড অনুযায়ী চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ বছর করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ‘চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ’।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সেমিনারে সংগঠনটি এ দাবি জানিয়েছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে যৌক্তিক দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। আমাদের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আমরা আজ এই সেমিনারের আয়োজন করেছি। সমাজের প্রত্যেকটা শ্রেণিপেশার মানুষেরা এই আন্দোলনের বিষয়ে অবগত রয়েছেন। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তজার্তিক মানদণ্ড অনুযায়ী ন্যূনতম ৩৫ বছর (শর্ত সাপেক্ষে উন্মুক্ত) করা একেবারেই যৌক্তিক। বর্তমানে চাকরিপ্রার্থীদের সাথে একটি বৈষম্য বিদ্যমান রয়েছে, এই বৈষম্য দূর করা আবশ্যক।

তারা আরও বলেন, ৩৫ বয়সসীমা আন্দোলনটি সময়ের সাথে একটি যৌক্তিক আন্দোলন। কিন্তু, বিগত সরকার এই আন্দোলনকে নিয়ে অনেক টালবাহানা করেছে। বিশ্বের প্রায় সব দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ থেকে শুরু করে ৫০ বছর পর্যন্ত রয়েছে। অনেক দেশে আবার যেকোনো বয়সে আবেদন করা যায়। কোনো বয়সসীমা সেখানে নেই। একেবারেই উন্মুক্ত করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বাংলাদেশের সকল পর্যায়ে চাকরিতে আবদনের বয়সসীমা আজ থেকে ৩৩ বছর আগে ১৯৯১ সালে ২৭ বছর থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়। যখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৫৭ বছর। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছরে এসে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা যৌক্তিক। গড় আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ২০১১ সালে অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করা হয়। কিন্তু, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি না করে সেটি ৩০ বছরেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়, যার কারণে দেশে উচ্চ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে।

সেমিনারে এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, চাকরিতে আবেদন করতে কোনো বয়স থাকার দরকার নেই। চাকরি হবে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে। রাষ্ট্রের যেখানে যেখানে বৈষম্য রয়েছে সেটি দূর করতে হবে। দেশকে বৈষম্যহীনভাবে গড়ে তুলতে হবে।

সেমিনারে শিক্ষার্থীরা সাতটি দাবি উত্থাপন করেছেন। দাবিগুলো হলো—
১. ১ম শ্রেণি ও ২য় শ্রেণির নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ বছর চাই।
২. ৩য় শ্রেণি ও ৪র্থ শ্রেণি নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা ৪০ বছর চাই।
৩. সকল প্রকার শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা উন্মুক্ত চাই।
৪. সকল প্রকার স্বাস্থ্য, চিকিৎসা নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা উন্মুক্ত চাই।
৫. সকল প্রকার আইসিটি নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা উন্মুক্ত চাই।
৬. সকল প্রকার আইন (জেডিসি) নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা উন্মুক্ত চাই।
৭. এছাড়া জরিপের মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে আবেদনের বয়সসীমা উন্মুক্ত চাই।

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২২০৪
ইএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।