ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আদালত চত্বরে হিরো আলমকে মারধর, কান ধরে উঠবস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪
আদালত চত্বরে হিরো আলমকে মারধর, কান ধরে উঠবস

বগুড়া: বগুড়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম হামলার শিকার হয়েছেন।

এ সময় তাকে কান ধরে উঠবস করানো হয়।

হিরো আলমের দাবি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ এনে কয়েকজন যুবক তাকে মারধর করেছেন।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারধরের শিকার হন।

জানা গেছে, দুপুরে আদালতে হিরো আলম ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে প্রচারণার সময় মারধর ও ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একই আসনে উপ-নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়।  

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আদালত চত্বরে হিরো আলম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় ৫/৭ জন যুবক তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ এনে তাকে বেধড়ক মারধর করে ও আদালত চত্বরের বাইরের সড়কে নিয়ে গিয়ে কান ধরে উঠবস করায়।

হিরো আলম বলেন, এক স্বৈরাচারের পতনের পর আরেক দল নিজেদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছে। এইটা কি স্বাধীনতা? প্রকাশ্যে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হলো। আমি কখনো তারেক জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করিনি। সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন আমার পরিবারকে জিম্মি করে রিজভী সাহেবের নামে মামলা করিয়েছেন। এটা আগেও বলেছি। এরপরও আমাকে আদালতের মতো জায়গায় মারধর করা হলো। যারা হামলা করেছে তাদের সবার ফুটেজ আছে, শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দায়ের করা মামলা প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন ও ২০২৩ সালের উপ-নির্বাচনে আমার ওপরে হামলা হয়।  নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ উঠে। এই অভিযোগে ৩৯ জনের নামে আদালতে মামলা করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৪
কেইউএ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।