ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ কার্তিক ১৪৩১, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বৃহত্তর শ্রমিক ঐক্য গড়ে তোলাই অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২৪
বৃহত্তর শ্রমিক ঐক্য গড়ে তোলাই অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার

ঢাকা: বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের প্রয়াত সভাপতি শাহ আতিউল ইসলামের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘২৪-এর গণঅভুত্থান ও শ্রমিক আন্দোলন’ শিরোনামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে পরিবাগের সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাসলিমা আখতার।

এর আগে সকাল ১০টায় মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শাহ আতিউল ইসলামের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

বিকেলে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গার্মেন্টস টিইউসি’র সভাপতি মন্টু ঘোষ, ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক আলিফ দেওয়ান, সাপ্তাহিক রোববারের সাবেক সম্পাদক তোশারফ আলী এবং ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সদস্য সোহেলা রুমী। সভা পরিচালনা করেন ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সদস্য অঞ্জন দাস।

আলেচনা সভায় আনু মুহাম্মদ বলেন, শ্রমিকদের স্বার্থে কাজ করা, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজের ক্ষেত্রে যত ফোরামে কাজ করা সম্ভব সেটা করতে সচেষ্ট থাকতে হবে শ্রমিকদের। শ্রমিক আন্দোলন শক্তিশালী হলে দেশের রাজনীতিও ব্যাপকমাত্রায় পরিবর্তিত হবে।

তিনি আরও বলেন, ’২৪-এর অভ্যুত্থানে হকার, মুটে, রিকশাচালক, ভ্যানচালক এবং শ্রমজীবী পরিবারের সন্তানরা বেশি মৃত্যুবরণ করেছে। বাংলাদেশে ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ছাত্রদের সঙ্গে পোশাকশ্রমিকসহ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা প্রাণ দিয়েছে, যাদের তালিকা এখনো সম্পন্ন হয়নি। কিন্তু এই তালিকা দ্রুত করা দরকার। গণঅভ্যুত্থ্যানের পর ইতিহাস থেকে শ্রমিকদের অংশগ্রহণ যেন মুছে না যায়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জেনায়েদ সাকি বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার উচ্ছেদ হয়েছে, কিন্তু ফ্যাসিবাদ এখনো বহাল রয়েছে। এই ব্যবস্থা উচ্ছেদ না হলে জনগণ কিংবা  শ্রমিকেরও মুক্তি ঘটবে না। কাজেই আগামীর বাংলাদেশে যেকোনো মূল্যে শ্রমিকদের জন্য গণতান্ত্রিক শ্রম আইন তৈরি করতে হবে। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির সাপেক্ষে বাংলাদেশে গার্মেন্ট খাতকে বুঝতে হবে, সেটা সব শ্রমিক সংগঠনকে উপলব্ধি করতে হবে। সরকারকে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন তৈরি করতে বাধ্য করতে হবে। বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের প্রয়াত সভাপতি আতিউল ভাই জীবিত থাকলে হয়তো তিনি এ লক্ষ্যেই কাজ করতেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২৪
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।