ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৮ কার্তিক ১৪৩১, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ২০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কার্যকর করা হচ্ছে মানব পাচারের শিকার ব্যক্তির সুরক্ষায় জাতীয় রেফারেন্স কাঠামো

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৪
কার্যকর করা হচ্ছে মানব পাচারের শিকার ব্যক্তির সুরক্ষায় জাতীয় রেফারেন্স কাঠামো

খুলনা: মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিকে শনাক্ত করা, বিদেশ থেকে ফেরত আনা এবং পুনর্বাসনের জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি সেবা সর্মথন/কাজের মধ্যে ধারাবহিকতা ও সমন্বয় সুদৃঢ় করতে একটি জাতীয় রেফারেন্স ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে পাচারের শিকার হওয়া মানুষকে সেবা প্রদানকারীদের মধ্যে রেফারেল ব্যবস্থা কার্যকরে একটি সমন্বিত কাঠামো প্রণয়নের আলোচনা ও প্রয়োজনীতা উপলব্ধি করেই সরকার জাতীয় এ রেফারেল ব্যবস্থার কাঠামোর বর্তমান রূপটি প্রণয়ন করেছে।

এর ফলে পাচার প্রতিরোধ এবং ভিক্টিমের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।

খুলনা জেলা প্রশাসন আয়োজিত শেয়ারিং ও ওরিয়েন্টেশন সভায় এ তথ্য জানানো হয়। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মানব পাচারের শিকার ব্যক্তির সুরক্ষা ও সহায়তায় জাতীয় রেফারেন্স ব্যবস্থার কাঠামো (এনআরএম) মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগ-বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের সাথে এই শেয়ারিং ও ওরিয়েন্টেশন সভার আয়েজন করা হয়। খুলনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই কর্মসূচির সহায়তায় ছিল আশ্বাস প্রকল্প। সুইস সরকারের সহযোগিতায় মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে উইনরক ইন্টারন্যাশনাল, ইনসিডিন বাংলাদেশ, কারিতাস এবং রূপান্তর।

রূপান্তর-এর নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা। মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক একেএম মাসুদ আলী। আলোচনায় অংশ নেন খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ আহমেদ, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কানিজ মোস্তফা, উইনরক ইন্টারন্যাশনালের পলিসি অ্যাডভোকেসি প্রধান মৃণ্ময় মহাজন, জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান দপ্তরের সহকারী পরিচালক আবু সাঈদ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এস এম বদিউজ্জামান, আনসার ও ভিডিপি’র সহকারী জেলা কম্যান্ডেন্ট মো. মিরাজুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. আশরাফ আলী, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সাজিয়া আফরিন, বিজিবি প্রতিনিধি মোঃ মনিরুজ্জামান, লিগ্যাল এইড অফিসের ফারজানা আক্তার, মানব পাচার প্রতিরোধ ট্রাইব্যুনালের এপিপি অ্যাডভোকেট ইভা সুলতানা, সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক রানা, গাজী মনিরুজ্জামান, প্রবীর বিশ্বাস প্রমুখ।

সভায় জানানো হয়, এ জাতীয় রেফারেল ব্যবস্থার কাঠামোর মূল কাজ হলো মানব পাচারের শিকার ব্যক্তির (ভিক্টিম) নারী ও পুরুষের যথাযথ সেবা প্রদান ও সেবা প্রদানকারী সংস্থা সমূহের মধ্যে একটি সমন্বয় কাঠামো তৈরি করা। এ কাজটির তদারকির দায়িত্বে থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন-নিরাপত্তা বিভাগের অধীন গঠিত “জাতীয় মানব পাচার দমন সংস্থা”।

সভায় বলা হয়, মানব পাচার আইন ২০১২ এবং বিধি ২০১৭ এর আলোকে মানব পাচারে শিকার ব্যক্তির উদ্ধার থেকে শুরু করে তার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুরক্ষায় পদক্ষেপসমূহ একই ছাতার নিচে নিয়ে আসা ও সেবাদানকারীদের সেবা প্রদানের সমন্বয় ও শেষ অবধি পরিচালনার জন্যে এ কাঠামোটি কার্যকর হবে বলে সরকার ও সংশ্লিষ্টজন মনে করছে।

উল্লেখ্য, বর্তমান বাস্তবায়িত মানব পাচার দমন ও প্রতিরোধ জাতীয় কর্মপরিকল্পনার ২০১৮-২০২২ সম্প্রসারিত ২০২৫-এর আলোকে মানব পাচার প্রতিরোধ ও সুরক্ষায় সকল কাজের একটি সুষ্ঠ  সমন্বয় ও অভিন্ন কার্যক্রম এ জাতীয় রেফারেল ব্যবস্থার কাঠামোর মাধ্যমে পরিচালিত হবে, যার ভিত্তিতে এ লক্ষ্যে সেবা প্রদানকারী সরকারি ও বেসরকারি সকল সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আন্ত:যোগাযোগ ও সমন্বিতভাবে কাজ করার একটি সুস্পষ্ট ও বাস্তবভিত্তিক  দিক-নির্দেশনা সন্নিবেশিত ও বর্ণিত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪,২০২৪
এমআরএম/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।