ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাসমেলায় যেতে বন বিভাগের ৫ রুট নির্ধারণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৪
রাসমেলায় যেতে বন বিভাগের ৫ রুট নির্ধারণ

খুলনা: রাসপূর্ণিমা উপলক্ষে আগামী ১৪ থেকে ১৬ নভেম্বর- তিন দিনব্যাপী সুন্দরবনের দুবলার চরে শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণে ঐতিহ্যবাহী ‘রাসপূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান’ অনুষ্ঠিত হবে।  

সেখানে নিরাপদে যাতায়াতের জন্য দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের জন্য সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ পাঁচটি পথ নির্ধারণ করেছে।

এসব পথে বন বিভাগ, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহলদল নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।

তীর্থযাত্রীরা বিভিন্ন নদীপথে লঞ্চ, ট্রলার, স্পিডবোট ও দেশি নৌকায় সেখানে গিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে অনুমোদিত পাঁচটি পথ হলো: শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী হয়ে কোবাদক থেকে বাটুলা নদী-বল নদী-পাটকোষ্টা খাল হয়ে হংসরাজ নদী হয়ে দুবলার চর। কয়রা, কাশিয়াবাদ, খাসিটানা, বজবজা হয়ে আড়ুয়া শিবসা-শিবসা নদী-মরজাত হয়ে দুবলার চর। নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর। ঢাংমারী অথবা চাঁদপাই স্টেশন-তিনকোনা দ্বীপ হয়ে দুবলার চর এবং বগী-বলেশ্বর-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর।

পুণ্যস্নানের জন্য ১৪ থেকে ১৬ নভেম্বর- এ তিন দিনের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে এবং প্রবেশের সময় এন্ট্রি পয়েন্টে লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকার প্রবেশ ফি, অবস্থান ফি এবং লোকের সংখ্যা অনুযায়ী বিধি মেনে রাজস্ব আদায়পূর্বক পাস দেওয়া হবে।  

অনুমতি পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপিসহ তীর্থযাত্রীদের আবেদন করতে হবে। প্রতিটি অনুমতিপত্রে সিল মেরে পথ বা রুট উল্লেখ করা হবে এবং তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীরা পছন্দমতো একটি রুট বা পথ ব্যবহার করবেন।  

১৪ নভেম্বর দিনের ভাটায় যাত্রা শুরু করতে হবে। রুটগুলোতে নির্ধারিত নৌযান শুধু দিনের বেলায় চলাচল করতে পারবে। বন বিভাগের তল্লাশি পয়েন্ট ছাড়া কোথাও লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকা থামানো যাবে না। ট্রলারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লাইফ জ্যাকেট বা বয়া সংরক্ষণ করতে হবে।

প্রতিটি জলযানের গায়ে রঙ অথবা স্টিকার দিয়ে বি এল সি বা সিরিয়াল নম্বর, তীর্থযাত্রী বা পুণ্যার্থীর সংখ্যা উল্লেখ করা হবে। সুন্দরবনে প্রবেশকালে প্রতি তীর্থযাত্রী বা পুণ্যার্থীকে একটি করে টিকিট বা টোকেন দেওয়া হবে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অবস্থানকালীন টোকেন বা টিকিট সর্বদা নিজের সঙ্গে রাখতে হবে।  

প্রতিটি লঞ্চ, নৌকা ও ট্রলারকে আলোরকোলে স্থাপিত কন্টোলরুমে আবশ্যিকভাবে রিপোর্ট করতে হবে। এর ব্যত্যয় করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাসপূর্ণিমা পুণ্যস্নানের সময় কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও বহন নিষিদ্ধ।  

কারো কাছে আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরকদ্রব্য, হরিণ মারার ফাঁদ, দড়ি, গাছ কাটার কুড়াল, করাত ইত্যাদি অবৈধ কিছু পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো অবস্থাতেই সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক যেমন প্লাস্টিকের প্লেট, পানির বোতল, গ্লাস বা চামচ বহন করা যাবে না।  

লঞ্চ, ট্রলার, নৌকায় এবং পুণ্যস্নানস্থলে মাইক বাজানো, পটকা, বাজি ইত্যাদি ফোটানোসহ সব প্রকার শব্দ দূষণ নিষিদ্ধ। রাসপূর্ণিমায় আসা পুণ্যার্থীদের সুন্দরবনে প্রবেশের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে নেওয়া সনদপত্রের মূলকপি সঙ্গে রাখতে হবে।

তীর্থযাত্রীদের এসব নির্দেশনা মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৪
এমআরএম/আরএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।