ঢাকা: সাবেক যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী এবং কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিএস)-সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে র্যাব-১৪ ও র্যাব-১ এর যৌথ অভিযানে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ দুজন হলেন সাবেক যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীর পিএস সাখাওয়াত মোল্লা (৫২) ও আ. হেকিম রায়হান (৫২)।
রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস জানান, গত ১৯ জুলাই বেলা আনুমানিক ২টায় কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন লক্ষীপুর এলাকায় ও বেলা আনুমানিক ৪টায় কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন কমলপুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণমিছিল বেরর হয়। ওই গণমিছিলে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করে এবং এতে বেশ কিছু লোক আহত হন। এ ঘটনায় মামুন মিয়া (৩১), রুবেল মিয়া (৩২) এবং আলম সরকার (৪২) বাদী হয়ে ভৈরব থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পরে আসামিরা গ্রেপ্তার এড়াতে অজ্ঞাতস্থানে পলাতক থাকেন। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে র্যাব-১৪ ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং ঘটনায় জড়িত আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে দ্রুত কার্যক্রম শুরু করে।
মুনীম ফেরদৌস আরও জানান, এরই ধারাবাহিকতায় পলাতক থাকা এজাহারনামীয় আসামিদের অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত করে র্যাব-১৪। পরে র্যাব-১ এর সহায়তায় র্যাব-১৪, সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্পের একটি চৌকস দল গতকাল বিকেল ৫টার দিকে ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাবেক যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী এবং কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত পিএস আসামি সাখাওয়াত মোল্লা (৫২) ও মামলার আরেক এজাহারনামীয় আসামি আ. হেকিম রায়হানকে (৫২) গ্রেপ্তার করে। এই মামলার ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।
আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২৪
এজেডএস/এইচএ/