চাঁদপুর: চাঁদপুর সেতুর টোল আদায় কার্যক্রম বন্ধ না করে নতুন করে টোল চালু করায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর ) সকাল ১১টা থেকে চাঁদপুর সেতু ওপর ও বাগাদি সড়ক মোড়ে গাছের গুড়ি ফেলে যানবাহন চলাচল বন্ধে করে বিক্ষোভ করেন ওই সেতু ব্যবহারকারী সিএনজি-অটোরিকশাচালক ও পরিবহন শ্রমিকরা।
এতে দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর সড়কের যানচলাচল। সকাল ১১টা থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
এ সময়ের মধ্যে চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর সড়কের দুইপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। যানচলাচল বন্ধ থাকায় অনেককে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে রওনা দিতে দেখা গেছে।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। সেনাবাহিনী ও পুলিশের সামনেই উত্তেজিত চালক ও পরিবহন শ্রমিকরা চাঁদপুর সেতুর টোল ঘর ভেঙে ফেলে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হয় যানবাহন চলাচল। তবে পরিস্থিতি এখনো থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
সিএনজি ড্রাইভার রিয়াদ বলেন, সকালে খালি সিএনজি নিয়ে যাওয়ার সময় আমার কাছে টোল চায়। আমি টোল দেব না বললে আমাকে মারধর করে। তারা অবৈধভাবে আর কতদিন টোল নেবে।
সিএনজিমালিক প্রতিনিধি খোরশেদ আলম বলেন, দীর্ঘবছর অতিবাহিত হওয়ার পরও এখনো টোলা আদায় হচ্ছে। ছাত্র-আন্দোলনের সময় বন্ধ হলেও এখন আবার নতুন করে টোল আদায়ের চেষ্টা করছে। আমরা সকল শ্রমিক ও মালিক পরিবহনের নেতাকর্মীরা এই টোল আদায় বন্ধ চাই।
যাত্রী আব্বাস উদ্দিন বলেন, সড়কে যানবাহন বন্ধ থাকায় হেঁটে যেতে হচ্ছে। যত আন্দোলন হোক সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে। সড়কে কোনো সিএনজি না চলায় এতদূর পথ হেঁটে যেতে হবে।
চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মারুফ হোসেন বলেন, এই সেতুতে টোল আদায়ে এবারও তিন বছরের ইজারা দেওয়া হয়েছে। আর্থিক পরিমাণ ৯ কোটি টাকার বেশি। চালকরা টোল বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি বা চিঠি দিয়েছে। অনেক আগে চাঁদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত শামছুল হক ভূঁইয়া টোল বন্ধের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু এ বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২৪
এসএএইচ