ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মিরপুরে দগ্ধ সাতজনের একজনের মৃত্যু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২৪
মিরপুরে দগ্ধ সাতজনের একজনের মৃত্যু

ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরে একটি টিনশেড বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ ৭ জন দগ্ধের ঘটনায় চিকিৎসাধীন আব্দুল খলিল (৪০) মারা গেছেন। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি মারা যান।

রোববার (২৪ নভেম্বর) ভোরে মিরপুর-১১, ৫ নম্বর এভিনিউ, সি ব্লকের ১৬ নম্বর রোডের একটি বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এতে রঙ মিস্ত্রী খলিলসহ দগ্ধ হন তার স্ত্রী গৃহিণী রুমা আক্তার (৩২), ছেলে হাফেজ আব্দুল্লাহ (১৩), মাদরাসাছাত্র মোহাম্মদ (১০) ও ইসমাইল (৪)। আর পাশের বাসার ভাড়াটিয়া মো. শাহজাহান (২৫) ও তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার পারভিন (২২)। তারা দুজনই গার্মেন্টস কর্মী।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. শাওন বিন রহমান জানান, খলিলের শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। শ্বাসনালিও পুড়েছে। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক ছিল। সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ২০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খলিলের স্ত্রী রুমা। এছাড়া তার ছেলে আব্দুল্লাহর ৩৮ শতাংশ, মোহাম্মদের ৩৫, ইসমাইলের ২০ শতাংশ দগ্ধ। আর প্রতিবেশী স্বপ্নার ১৪ ও তার স্বামী শাহজাহান ৬ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের সবার অবস্থাই গুরুতর।

মৃত আব্দুল খলিলের ভাতিজি নাসিমা আক্তার রুপালী জানান, তাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার চর বাঙলাবাজার গ্রামে। তিন ছেলেসহ তার চাচা-চাচি মিরপুরের ওই বাসায় ভাড়া থাকেন। তাদের পাশের বাসায় ভাড়া থাকেন ওই দম্পতি। রোববার ভোরে তিনি খবর পান, ওই বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছেন। তারা সবাই দগ্ধ হয়েছেন। পরবর্তীতে তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।

খলিলের ভায়রা আব্দুল হালিম জানান, রোববার ভোরে খলিল যখন মশার কয়েল জ্বালানোর জন্য দিয়াশলাই জ্বালান, তখনই জমে থাকা গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

দগ্ধ শাহজাহান জানান, রাতে তারা বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। ঘুম ভাঙতেই দেখেন চারদিকে আগুন জ্বলছে। তাদের শরীরে আগুন লেগে গেছে। তখন নিজেরাই বাসার বাইরে বের হন।

তিনি জানান, বাসার সামনে দিয়ে গ্যাস লাইন রয়েছে। দুইদিন আগে রাস্তার পাশে সেই গ্যাস লাইনে হঠাৎ করে আগুন জ্বলে উঠেছিল। পরে স্থানীয়রা সে আগুন নেভান। তার তার ধারণা, সেই লাইন থেকে লিকেজ হয়ে তাদের রুমের ভেতর গ্যাস জমে ছিল। তার জন্য বিস্ফোরণ হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২৪
এজেডএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।