ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

এক মাসের মধ্যে অবস্থার উন্নতি না করলে বিআরটিএ’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
এক মাসের মধ্যে অবস্থার উন্নতি না করলে বিআরটিএ’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষা ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) এক মাসের সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।  

এই এক মাসের মধ্যে নিজেদের অবস্থার উন্নতি না করতে পারলে বিআরটিএ’র বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর আব্দুল গণি রোডে বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ, ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসন এবং বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এই কথা জানান তিনি।

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, আজকে যানজট থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দেওয়া, পরিবহন খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং দূষণ কমাতে মতবিনিময় সভা হয়েছে। সভায় আমরা সভার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে কয়েকটি সিদ্ধান্তে এসেছি। প্রথম সিদ্ধান্ত এসেছে বিআরটিএ সম্পর্কে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের বিষয়ে সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিআরটিএ -কে এক মাসের সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে মধ্যে যদি তারা তাদের অবস্থার উন্নতি করতে না পারে, তাহলে বিআরটিএ-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিআরটিএ’র যেহেতু ব্যবস্থাপনা অপর্যাপ্ত সেহেতু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে - যানবাহনের ফিটনেস এবং লাইসেন্সের বিষয়ে অন্যান্য গ্যারেজ, ড্রাইভিং স্কুল, পুলিশ বা অন্য কারো সহায়তা নিয়ে এই কাজগুলো দ্রুত করার।

তিনি বলেন, পরিবহন সেক্টর থেকে একটি ভালো পরামর্শ এসেছে। স্কুলগুলোর জন্য স্কুল বাসের ব্যবস্থা করা। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্কুল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেব। কারণ, একজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে একটি গাড়ি যায়। তাই একটি নিরাপদ স্কুল বাস সার্ভিস করার জন্য আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে স্কুলগুলোকে বলব।

উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা আগেই বলেছিলাম, মে মাসের মধ্যে ২০ বছরের বেশি পুরোনো যানবাহনগুলোকে রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হবে। এটা আমরা বাস্তবায়ন করব। এজন্য বাসমালিকরা যদি কোনো ধরনের আর্থিক সহায়তা চান, আমরা সেটি ব্যাংকের মাধ্যমে করার চেষ্টা করব। আর ঢাকা শহরে যারা বাস চলান, তাদের জন্য আমরা অধিকতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব এবং একটি বিশেষ লাইসেন্স দেব।

এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক বলেন, আগে বাস রুট রেশনালাইজেশনের আওতায় অপরিকল্পিতভাবে ঢাকা নগর পরিবহনের ২৫৬টি রুট ছিল। সেটিকে কমিয়ে ৪২টি রুটে নিয়ে আসছি। ২৫ ফেব্রুয়ারি পাইলট প্রজেক্টের মাধ্যমে আমরা গ্রিন ক্লাস্টার বাস সার্ভিস চালু করব ৯টি রুটে।

এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বক্স চৌধুরীসহ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণায়ের অন্যান্য কর্মকর্তা, পরিবহন মালিক সমিতি ও ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
এসসি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।