ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

লিটনকে হত্যার ক্ষেত্র তৈরি করে টার্গেট কিলিং: প্রধানমন্ত্রী

শামীম খান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৭
লিটনকে হত্যার ক্ষেত্র তৈরি করে টার্গেট কিলিং: প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: গাইবান্ধা-১ আসনের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যার ক্ষেত্র তৈরি করে তারপর টার্গেট কিলিং করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক দল জামায়াত এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  

সোমবার (০২ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব মন্তব্য করেছেন।

এ সময় তিনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

বৈঠক শেষে একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়। সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
 
সূত্র জানায়, বৈঠকের শুরুতে এমপি লিটনের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয় নিয়ে কথা তোলেন।

তিনি বলেন, প্ল্যান করে (পরিকল্পিতভাবে) লিটনকে হত্যা করা হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে লিটনকে হত্যার প্লট (ক্ষেত্র) তৈরি করা হয়েছিলো। আগেও ওকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। লিটনের ছোড়া গুলি একটি বাচ্চার লেগেছিলো। আসলে তিনি তো বাচ্চাকে গুলি করেনি, নিজেকে রক্ষার জন্য গুলি করেছিলো, যা বাচ্চাটির পায়ে লেগে যায়। ওকে তো ওই দিনই হত্যা করার হতো। তখন ওই ঘটনায় লিটনই ভিকটিম হয়, লিটন কেন গুলি করলো সেটা আর বলা হলো না। তখন তিনি আক্রান্ত হয়েছিলো, কিন্তু ওর কথা আর কেউ বলেনি। যার বাচ্চার গুলি লেগেছিলো সেও লিটন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছে।
  
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী ধর্মীয় মৌলবাদী জামায়াতের বিরুদ্ধে লিটন শক্ত অবস্থান নিয়ে দীর্ঘদিন সংগ্রাম করে আসছিলো। লিটনকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য এ মৌলবাদী চক্র পরিকল্পনা করে অগ্রসর হয়। এরাই এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড। এটা তাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা একটা অংশ। প্রথমে তাকে কৌশলে ও পরিকল্পিতভাবে হেয় করার চেষ্টা করা হয়।  

সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর এসব কথা বলা সময় সিনিয়র মন্ত্রীরাও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। কেউ কেউ বলেন, তখন ওই বাচ্চাটির গায়ে গুলি লাগার পর লিটনের লাইসেন্স করা অস্ত্র সিস (জব্দ) করা হয়। এটাও পরিকল্পনার একটি অংশ যাতে তিনি অস্ত্র জমা দিতে বাধ্য হয়।  

এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জামায়াত নেতা গোলাম আজম একবার গাইবান্ধা যাওয়ার কথা ছিলো। তখন লিটন এর প্রতিবাদ জানায় এবং গোলাম আজমের যাওয়া প্রতিহত করে। লিটনের উপর জামায়াতের সে ক্ষোভও ছিলো।
 
লিটনের হত্যাকাণ্ডের বিষয় নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুও কথা বলেন।  

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত তা দ্রুত খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। খুনিদের খুঁজে বের করতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘন্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৭ 
এসকে/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।