ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে প্রজন্ম ৯৫’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
‘সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে প্রজন্ম ৯৫’ বক্তব্য রাখছেন এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল। ছবি: বাংলানিউজ

কক্সবাজার: কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আলহাজ সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন, বন্ধুত্বের বন্ধন সুদৃঢ় রেখে সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে প্রজন্ম ৯৫। শুধুমাত্র সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এ সংগঠনটি সমাজের উন্নয়নের যে কাজ করছে এটি অনুকরণীয়।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে রামু স্বপ্নপুরী কমিউনিটি সেন্টারে  ‘রামুর প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন প্রজন্ম ৯৫- এর শিক্ষা ট্রাস্ট আয়োজিত ‘প্রজন্ম ৯৫ মেধাবৃত্তি পরীক্ষার বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদপত্র, ক্রেস্ট ও শিক্ষাবৃত্তি ও পুনর্মিলনী’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এমপি কমল আরও বলেন, এসএসসি পাসের পর থেকে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বন্ধুত্বের চর্চা রামুতে প্রজন্ম ৯৫ একটি অনুকরণীয় নাম।

প্রজন্ম ৯৫-এর মতো সমাজের সর্বস্থরের মানুষকে যার যার অবস্থান থেকে ভালো কাজ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, শিল্প-সাহিত্য, ক্রীড়া এবং পর্যটন শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি আমরা রামুকে শিক্ষার নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সমুদ্র শহর এবং স্বাস্থ্যকর স্থান হিসেবে কক্সবাজার সারাবিশ্বে পরিচিত। সবকিছু বিবেচনায় কক্সবাজার এখন পর্যটকদের কাছে দার্জিলিংয়ের মতো। পাশাপাশি রামুও এখন পর্যটকদের কাছে কম আকর্ষণের নয়।             

প্রজন্ম ৯৫’র সভাপতি ও ব্রিটিশ কাউন্সিল, বাংলাদেশের ডিরেক্টর (মানব সম্পদ) ফয়সল ওবাইদ রুমেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. শাজাহান আলী, বান্দরবান জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রজন্ম ৯৫’র উপদেষ্টা বদিউল আলম পাভেল, রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা, রামু উপজেলা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবুল মনসুর, রামু কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুল হক, রামু সহকারী কমিশনার (ভূমি) চাইথোয়াহ্লা চৌধুরী, রামু উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রজন্ম ৯৫’র সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন, বাঁকখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কিশোর বড়ুয়া প্রমুখ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. শাজাহান আলী বলেন, দেশে শিক্ষার হার বাড়ছে কিন্তু শিক্ষার মান নিয়ে আমাদের শংকা এখনো কাটছে না। আমি বিশ্বাস করি, প্রজন্ম ৯৫’র পরীক্ষা পদ্ধতি সবাই অনুসরণ করলে দেশের শিক্ষার মান অনেকাংশে বাড়বে।

অনুষ্ঠানে পর্যবেক্ষকদের মধ্যে রামু কলেজের সহকারী অধ্যাপক ইজত উল্লাহ, রামু খিজারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সহিদুল্লাহ বক্তব্য দেন।

শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সুনীল বড়ুয়া। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রজন্ম ৯৫ বৃত্তি পরিচালনা পর্ষদের আহ্বায়ক মো. নজিবুল আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুনীল বড়ুয়া ও রেজাউল আমিন মোরশেদ।

সবশেষে অতিথিরা বৃত্তিপ্রাপ্ত ১১জন কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদপত্র, ক্রেস্ট ও প্রাইজমানি তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে প্রজন্ম ৯৫’র পরিবারের দুই শতাধিক সদস্যসহ রামুর সুশীল সমাজ, ছাত্রছাত্রী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সর্বস্থরের লোকজন অংশ নেন।

২০১৪ সাল রামুর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রজন্ম’৯৫ শিক্ষা ট্রাস্ট এ বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করে আসছে। ষষ্ঠবারের মতো এবারে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ১৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৫৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে তিনজনকে ট্যালেন্টপুলে এবং আটজনকে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
এসবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।