এদিকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আশপাশের চুলায় আগুন না জ্বালানোর পরামর্শ দিয়ে সতর্ক করে দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি বায়েক ইউনিয়নের শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে নলকূপ বসানোর কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দা আলামিন মিয়া বলেন, পাইপ ৫শ ফুট বসানোর পর এভাবে বালু, গ্যাস উঠছে। এটা নিয়ে আমরা খুব ভয়ের মধ্যে আছি, ইতোমধ্যে টিউবয়েল, গাছ ধেবে গেছে, এখন দেখছি ভবনও ধেবে যাবে। ভয়ে আমরা রান্না করার জন্য আগুনও জ্বালাতে পারছি না।
স্কুলছাত্র রায়হান মিয়া বলে, তীব্র গ্যাসের কারণে স্কুলের মাঠ, কক্ষ সব বালিতে তলিয়ে গেছে। ক্লাস করার মত কোনো পরিবেশ নাই। আমাদের পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে।
বিদ্যালয়ে পাশের বাড়ির বাসিন্দা নাছিমা আক্তার বলেন, এ সমস্যার কারণে প্রশাসন মাইকিং করে আগুন জ্বালাতে নিষেধ করেছে। তাই শুকনা খাবার খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। বাচ্চাদের নিয়ে কষ্ট করতে হচ্ছে। আমরা এ অবস্থা থেকে উত্তরণ চাই।
সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে আতঙ্কের কথা উল্লেখ করে শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আল মামুন ভূইয়া বাংলানিউজকে জানান, অনির্দিষ্টকালের জন্য বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন বলেন, উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
এদিকে, বাপেক্সের ভূতত্ত্ব বিভাগের মহা-ব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন জানান, গ্যাসের ধরণ পরীক্ষার পর করণীয় নির্ধারণ করবেন তারা। এজন্য গ্যাসের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। পাশাপাশি তিনি সবাইকে সর্তক থাকার পরামর্শ দেন।
সম্প্রতি জেলার কসবা ও নবীনগরের বিভিন্ন স্থানে নলকূপ বসানোর সময় এভাবে গ্যাসের উদগীরণ লক্ষ্য করা গেছে। তাই দ্রুত এ বিষয়টির সমাধানসহ গ্যাসের মজুদ পরীক্ষা করতে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২০
এসএইচ