শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চাঁদপুর প্রেসক্লাবের কার্যকরী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এখন আমরা অনেক কাজ করছি, কিন্তু সেটাই যথেষ্ট নয়।
সুশিক্ষার গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে দীপু মনি বলেন, এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শতভাগ শিক্ষার্থী নিয়ে আসলেই চলবে না, শিক্ষাটা হতে হবে মানসম্পন্ন। যেন আমার শিক্ষার্থী বিশ্বমানের শিক্ষা পেয়ে বিশ্ব নাগরিক হতে পারে। যে কোন জায়গার শিক্ষার্থীর সঙ্গে শুধু তাল মিলিয়ে চলা নয়, উন্নত প্রযুক্তিটাও যেন সে আয়ত্ত করতে পারে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকরা আমার ভাই, আমার আত্মার আত্মীয়। কারণ আমার বাবা রাজনীতির পাশাপাশি দলের পত্রিকা হিসেবে দৈনিক ইত্তেফাকের শুরু থেকে কাজ করেছেন। সে সুবাধে সংবাদপত্রের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা পুরনো এবং আরো বেড়েছে। সাংবাদিকদের অনুষ্ঠানে আসতে পারা সব সময়ই খুব আনন্দের।
মন্ত্রী বলেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের দ্বিতল ভবনটি শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় এসেছেন বলে করে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আমি তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলাম। কিন্তু শেখ হাসিনার অধীনে মন্ত্রী থাকার কারণে এই কাজটুকু করা সম্ভব হয়েছে।
দীপু মনি বলেন, শেখ হাসিনার যে দূরদৃষ্টি, যে প্রজ্ঞা ও সাহস, সেটি সব অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। সে কারণে আমরা আজ খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে যেতে পারছি এবং এই এগিয়ে যাওয়া সারা বিশ্বে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এএইচএম আহসান আহসান উল্লাহর সঞ্চালনায় সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য রাখেন শিশু গবেষক প্রফেসর সমির কে সাহা ও জয়নাল আবেদীন সিআইপি।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জামাল হোসেন, চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২০
এসএইচ