প্রায় প্রতি কার্যদিবসেই নীলফামারী বিআরটিএ অফিসের সামনে দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। গাড়ির মালিক ও চালকদের অভিযোগ- জেলা সদরের কোনো ব্যাংকে লাইসেন্সের টাকা জমা দেওয়ার সুবিধা নেই।
আফজলুর রহমান নামে এক মোটরসাইকেল চালক জানান, তিনি দুই বছর ধরে বিআরটিএ-তে ঘুরছেন, তবুও ডিজিটাল নম্বর প্লেট পাচ্ছেন না। ইতোমধ্যে স্মার্টকার্ড পেয়েছেন। ডিজিটাল প্লেটের বিষয়ে কোনো সদুত্তর পাচ্ছেন না। এক কর্তকর্তার কাছে এ বিষয়ে তিনি জানতে গেলে জানালেন, আরও ৪৬০ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে, তবেই এক মাস পর মিলবে ডিজিটাল নম্বর প্লেট।
এদিকে ভিড় বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ ব্যাংকিং কার্যক্রমের পাশাপাশি লাইসেন্স ফি জমা নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সৈয়দপুর শাখাকে।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মোহাম্মাদ করিমুল্লাহ জানান, জনবল সংকটের মধ্যেও নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিচ্ছি আমরা।
জেলা বিআরটিএ অফিসের পরিদর্শক নুরুল ইসলাম জানান, আমরা গাড়ির মালিক-চালকদের সহজে কাজ করে দিচ্ছি। প্রতিদিন শতশত আবেদন পড়ছে। ফলে কাজের চাপ বেড়ে গেছে। এতে আগতদের একটু ভোগান্তি হতেই পারে। ব্যাংকে টাকা জমার বিষয়ে তিনি বলেন, এখন অনলাইনে টাকা জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২০
এসএইচ