রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর ৯৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুজিববর্ষে শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আগেই সাংস্কৃতিক অঙ্গনের লোকেরা রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশাপাশি বিপুলভাবে কাজ করেছেন। দেশ স্বাধীনের লক্ষ্যটা তারা অনেকখানি দেখিয়ে দিয়েছেন। বক্তৃতার মাঠ, গণসঙ্গীতের আসর, নাটক, কবিতা মুক্তির বাণীর কথা প্রচার করতো। যেটা মুক্তিযুদ্ধে সত্যিকার অর্থে আমাদের শক্তি জুগিয়েছিল। মুজিব শতবর্ষে এসে গানের মানুষ, বুদ্ধিজীবীরা, সাহিত্যিকেরাও শক্তি জোগানোর সেই বড় কাজটা আবার করতে পারেন।
তিনি বলেন, একজন রাজনীতিকের মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা সীমিত। কিন্তু একজন সাহিত্যিক, নাট্যনির্মাতার ক্ষমতা অনেক। দীর্ঘদিন আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাইরে চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মানুষের মধ্যে ধারণ করার কাজটা করতে পারেন এসব শিল্প-সাহিত্যের মানুষেরাই। মানুষ এ চেতনাকে ধারণ করতে পারলেই মুজিব শতবর্ষ পালন স্বার্থক হবে।
শাহরিয়ার কবির বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঋণশোধ করার একটা পথ রয়েছে। সেটি হচ্ছে তিনি যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার বাস্তবায়ন করা। যে কারণে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন, সেই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। মুজিববর্ষ পালনে সরকারের পাশাপাশি নাগরিক সমাজেরও করণীয় আছে।
বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ ধর্মহীনতা নয়। প্রত্যেক মানুষের নিজ নিজ ধর্ম পালন ও প্রচারের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে। শুধু রাষ্ট্র ও রাজনীতি ধর্মের ব্যাপারে নিরপেক্ষ থাকবে, কোনো বিশেষ ধর্মকে প্রশ্রয় দেবে না।
স্মারক বক্তৃতায় নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, আসুন ‘৭২ এর সংবিধান প্রতিষ্ঠা করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে একটি সমৃদ্ধশালী, আদর্শ রাষ্ট্র গড়ে তুলতে আমাদের সৃষ্টিশীলতার পূর্ণ ব্যবহার করি। ধর্মনিরপেক্ষ-গণতান্ত্রিক শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলি। এ পথে মৌলবাদী একাত্তরের পরাজিত শক্তি হন্তারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ। এ পথে মৃত্যু ঘাপটি মেরে আছে। কিন্তু আমরা থামবো না। আমরা ঐতিহ্যের শক্তিতে মুক্তির পথে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০
এসকেবি/ওএইচ/