তার নাম আঙ্গুরা বিবি (৬০)। তিনি সম্পর্কে নিহতের বেয়ান।
ঘটনার পর ওই পরিবারের সদস্যরা সহায়তা চেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করেন। ৯৯৯ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগকারী’র সঙ্গে গোদাগাড়ী থানার অধীনে থাকা কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শিশির কুমারের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়া হয়।
পরে শিশির কুমার সঙ্গীয় ফোর্সসহ দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। পরে ঘটনাস্থল থেকে হামিদার মরদেহ (৪০) উদ্ধার করা হয়। এ সময় ময়নাতদন্তের জন্য তা রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়ে।
এ সময় তাকে হত্যার অভিযোগে মমিজুলকেও আটক করা হয়। মমিজুল ওই গ্রামের মিন্নু রহমানের ছেলে। আর আঙ্গুরা একই গ্রামের মুক্তার আলীর স্ত্রী। হামিদার স্বামীর নাম কোরবান আলী।
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক শিশির কুমার বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুপুরে মমিজুল ও হামিদার মধ্যে বাকবিতন্ডা হচ্ছিল।
এক পর্যায়ে মমিজুল তার ফুফু হামিদা বেগমের মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর হামিদার মরদেহ দেখতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বেয়ান আঙ্গুরারও মৃত্যু হয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক মমিজুলকে আটক করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ছেলে হামিদুল ইসলাম বাদী হয়ে গোদাগাড়ী থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় আটক মমিজুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
এসএস/ওএফবি