সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রতন সেন কলেজিয়েট গার্লস স্কুলের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা ধর্ষক ইমদাদুল মল্লিকের সর্ব্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান। তারা ভিকটিম পরিবারের নিরাপত্তা দেওয়া, এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও শিক্ষার শান্তিপূর্ণ পরিবেশের দাবি জানান। এছাড়া বক্তারা স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতার নিন্দা জানান।
রতন সেন কলেজিয়েট গার্লস স্কুল পরিচালনা পরিষদের বিদ্যুৎসাহী সদস্য মজিদ হাওলাদারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- শ্রীফলতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইসহাক সরদার, ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম সাগর, শেখ সাইদুর, আওয়ামী লীগ নেতা মোল্যা দেলোয়ার হোসেন দিলু, আজগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যশোমন্ত ধর, গাজী মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আজিজা সুলতানা, বেলফুলিয়া ইসলামী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সদস্য রোটা রোমিও হোসেন পিয়াস, সমাজ সেবক আমানত হোসেন সেলিম, অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান, এ বি এম কামরুজ্জামান, মনির সরদার, শিক্ষার্থী পলাশ রায়, জয়ন্ত আচার্য, ইমন হাসান, হালিমা আক্তার যুথি, তাসমিয়া তাবাচ্ছুম প্রমুখ।
গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে শ্রীফলতলা ইউনিয়নের বক্কার হুজুরের বাড়ির পাশ দিয়ে যাবার সময় এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে এক বখাটে। বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর বাবা পালেরহাট পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দেয়।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, শ্রীফলতলা ইউনিয়নের ইদ্রিস মল্লিকের ছেলে ইমদাদুল ছাত্রীটিকে স্কুলে যাবার পথে নিয়মিত উত্ত্যক্ত করতো। বুধবার রাতে সে ওই এলাকার বক্কার হুজুরের বাড়ির পাশ দিয়ে যাবার সময় তাকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পালেরহাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা আসামি ইমদাদুলকে আটক করে।
পরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। ইমদাদ এলাকায় বখাটে যুবক হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ইভটিজিং ও নারীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে। এর আগে ওই স্কুলের আইসিটি শিক্ষিকাকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় ওই যুবক আলোচনায় আসে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
এমআরএম/আরবি/