সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারে বর্তমানে অস্থায়ীভাবে রাখা ‘৫-এফ’ স্প্যানটি সরিয়ে রাখা হবে নির্ধারিত পিলারে। ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর মাওয়া প্রান্তে রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজের সুবিধার্থে অস্থায়ীভাবে স্প্যানটি রাখা হয়েছিল।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু হবে। শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের সেতুর স্প্যানগুলোর সঙ্গে ৩০ ও ৩১ নম্বর পিলারে বসানোর কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ৩-৪ ঘণ্টা।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ‘তিয়ান-ই’ ভাসমান ক্রেনটি সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের কাছে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে নিয়ে যাবে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেন। নির্ধারিত পিলারের সামনে স্প্যানবহনকারী ক্রেনটি পজিশনিং করে নোঙর করবে। এরপর ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে তোলা হবে পিলারের উচ্চতায়। রাখা হবে পিলারের বেয়ারিংয়ের উপর। আবহাওয়া ও কারিগরি কোনো জটিলতা দেখা না দিলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্প্যানটি বসানো সম্ভব হবে।
পদ্মাসেতুর প্রকৌশল সূত্রে জানা যায়, পদ্মাসেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে কাজ বাকি আছে ৪টি পিলারের। সেতুতে ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে বসানো হয়েছে ৫৭৩টি ও ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে স্ল্যাব বসেছে ২৫০টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
আরএ