সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটির ঢাকা মহানগর কমিটি আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
সুন্দরবন থেকে কক্সবাজার: ভারত-চীন-জাপানের উপকূলবিনাশী সব প্রকল্প বাতিল, ভোলার গ্যাসক্ষেত্র থেকে রাশিয়ান কোম্পানি হঠাও এবং জাতীয় কমিটির স্বনির্ভর সুলভ পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বাপেক্স আবিষ্কৃত ভোলা গ্যাসক্ষেত্র গ্যাজপ্রমকে দেওয়া জাতীয় স্বার্থবিরোধী। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই ভোলা গ্যাসক্ষেত্র গ্যাজপ্রমকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে ভোলামুখী পদযাত্রার মাধ্যমে আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, একদিকে সমুদ্রের গ্যাস বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে রপ্তানি, অন্যদিকে বাপেক্স আবিষ্কৃত ভোলার গ্যাসক্ষেত্র রাশিয়ান কোম্পানিকে দিয়ে সরকার কমিশনভোগীর ভূমিকা নিয়েছে। কমিশন ও ক্ষমতার লোভে সরকার রামপাল, রূপপুরসহ বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে লুটেরা গোষ্ঠীর প্রতিনিধির ভূমিকা পালন করছে।
গ্যাসক্ষেত্রের সুষ্ঠু ব্যবহারে দেশবিনাশী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় কমিটির সুলভ, পরিবেশবান্ধব, স্বনির্ভর মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে না, সুন্দরবনসহ উপকূলও বিনাশ করতে হবে না।
ঢাকা মহানগর শাখার সমন্বয়ক জুলফিকার আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নগর শাখার সমন্বয়ক আকবর খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশীদ ফিরোজ, অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, শহিদুল ইসলাম সবুজ, নাসির উদ্দিন নাসু, মনিরউদ্দিন পাপ্পু, খান আসাদুজ্জামান মাসুস প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
আরকেআর/এফএম