সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ৬ ফেব্রয়ারি উপজেলার রূপসী এলাকার রাস্তার পাশে রাখা সয়াবিনের গরম বর্জ্যে পড়ে গিয়ে দগ্ধ হন আশরাফুল মিয়া।
স্থানীয়রা জানান, তারাবো পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল, কাজীরপাড়া এলাকার জাফর কাজী, সাজ্জাত, নোয়াপাড়া এলাকার শাহজাহান ও রাজীব মিলে রূপচাঁদা এডিবয়েল মিল থেকে গরম সয়াবিনের বর্জ্য কিনে বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রি করেন। ইট ভাটায় বিক্রির জন্য এ সয়াবিনের বর্জ্যগুলো কোন প্রকাশ বেষ্টনী ছাড়াই রূপসী খন্দকার বাড়ি এলাকায় রাস্তার পাশে এনে রাখেন।
নিহতের বাবা বাবুল মিয়া জানান, গত ৬ ফেব্রয়ারি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আশরাফুল ইসলাম গরম সয়াবিনের বর্জ্যে পড়ে যায়। আশরাফুলের চিৎকারে বন্ধু নাজিম মিয়া (১৩) বাচাঁতে গেলে সেও বর্জ্যে পড়ে দগ্ধ হয়। পরে পরিবারের লোকজন আশরাফুল ইসলাম ও নাজিম মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সোমবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশরাফুল মিয়ার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রদীপ নামে এক শ্রমিক কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে সয়াবিনের গরম বর্জ্যে পড়ে গিয়ে দগ্ধ হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। গত ২ ফেব্রয়ারি রুমি আক্তার নামে এক তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীও এ বর্জ্যে পড়ে দগ্ধ হন। রুমি আক্তার বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা মামলা করতে রাজি হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
এমকেআর