সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) শেষ রাতের দিকে সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপের কাছে সমুদ্রে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে, হতাহতদের সবাই রোহিঙ্গা নাগরিক।
সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. নাঈম উল হকও বাংলানিউজকে একই কথা জানান। তিনি বলেন, ট্রলারডুবিতে মৃত ও জীবিত সবাই রোহিঙ্গা। এরা সবাই উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাস করে আসছিলেন। ওই এলাকার কিছু রোহিঙ্গা ও স্থানীয় দালালের হাত ধরে সোমবার রাতে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য একটি ট্রলারে করে সাগর পথে রওনা দেন তারা। রাতের কোনো এক সময় ছেঁড়াদ্বীপের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনার শিকার হয় ট্রলারটি।
লে. নাঈম আরও বলেন, উদ্ধার রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা বেশ কিছু দালালের বিষয়ে জানতে পরেছি। তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
জীবিতদের সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ড কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবার দেওয়া হয়েছে। বিকেলের মধ্যে তাদের টেকনাফ নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড।
আরও পড়ুন>>> সেন্টমার্টিনে ট্রলারডুবি, ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার
এ ব্যাপারে রোহিঙ্গা নেতা ছৈয়দ উল্লাহ জানান, দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে বেশ কিছু দালাল সক্রিয় রয়েছে। বাইরের কিছু দালালের সহযোগিতায় তারা রোহিঙ্গাদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে মালয়েশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে নেওয়ার চেষ্টা চালায়।
নিহত রোহিঙ্গাদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহের চেষ্ঠা চলছে বলে জানান ছৈয়দ উল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১,২০২০
এসবি/এইচজে