মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আমন ধান সংগ্রহ-২০২০ উপলক্ষে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমারা খানুম।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ভিপি আবদুল মান্নান, পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গোলাম সরোয়ার, খাদ্য বিভাগের পরিচালক (সরবরা, বন্টন ও বিপণন বিভাগ) আমজাদ হোসেন, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, কৃষকদের যেন হয়রানি না হয় সেদিকে লক্ষ্যরেখে তাদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করতে হবে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ে কোনো ধরনের দুর্নীতি কিংবা অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সারা দেশে ২০০টি স্টিলের ‘মিনি পেডি সাইলো (ধান সংরক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থা)’ নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনে এই সাইলোতে সংরক্ষণ করা হবে। প্রতিটি সাইলোতে ৫০০০ টন করে ধান ২-৩ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমারা খানুম বলেন, প্রতিটি সাইলো নির্মাণ করতে ৭ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। এ সংক্রান্ত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এটি অনুমোদনের জন্য শিগগিরই পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। বিশেষায়িত এসব সাইলো নির্মিত হলে চালের পাশাপাশি আরও ১০ লাখ টন ধান সংরক্ষণ করতে পারবে সরকার। এ মুহূর্তে সরকারের ধান সংরক্ষণের কোনো গুদাম নেই।
জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এবার পটুয়াখালী জেলায় প্রথমবারের মত ১৬ হাজার ৭৮০ মেট্রিকটন আমন ধান ২৬ টাকা কেজি দরে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ধান ক্রয় করছে। ইতোমধ্যে ৪ হাজার ৬৭৮ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী সরকারি তালিকাভুক্ত কৃষকদের কাছ থেকেই এ ধান সংগ্রহ করার কথা থাকলেও মাঠপর্যায়ে প্রকৃত কৃষকের তালিকা না পাওয়ায় ধান কিনতে পারছেন না খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
এসএইচ