মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরণের টেবিলে উত্থাপিত লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এসব তথ্য জানান।
অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের ৬৪টি জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৭ হাজার ১৮টি পদ শূন্য রয়েছে। এরমধ্যে পদোন্নতি যোগ্য শূন্যপদ ৪ হাজার ১৬৬টি, সরাসরি নিয়োগের যোগ্য শূন্যপদ ২ হাজার ৮৫২টি।
আর ২৫ শতাংশ বা সরাসরি নিয়োগের জন্য ৩৭ তম বিসিএস থেকে নিয়োগের জন্য ২০১৯ সালের ২৬ জন প্রয়োজনীয় তথ্য বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের নির্ধারিত ফরমে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির বিষয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৩, অধিগ্রহণকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (চাকরির শর্তাদি নির্ধারণ) বিধিমালা-২০১৩ ও নন ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারী জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালা-২০১১ নীতিমালা অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। তবে আদালতে মামলা থাকায় প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে। তবে জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ৬১টি জেলায় সহকারী শিক্ষকের ১৮ হাজার ১৪৭ টি পদ পূরণের জন্য ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের নিয়োগপত্র জারি করা হয়েছে। যথাশিগগির এসব শিক্ষক কর্মস্থলে যোগ দেবেন।
এছাড়া তিন পার্বত্য জেলায় জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে স্থানীয়ভাবে শিক্ষক নিয়োগ করা হয় বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
এসই/এমএ