শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার পোনা বাস স্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, বদিয়ার মোল্লা (৩০), মিজান ফকির (৪৩) সুমন মুন্সী (২০), সিরাজুল ইসলাম মোল্রা (৩০)ও লায়েক ফকির (৫০)।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান জানান, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ফাল্গুনী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছালে লিংক রোড থেকে হাইওয়েতে উঠার সময় একটি শ্রমিকবাহী নসিমনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাসের ধাক্কার নসিমনে থাকা ঢালাইয়ের মেশিন শ্রমিকদের উপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে মিজান ফকির নামে এক শ্রমিক নিহত ও ১১ জন শ্রমিক গুরুতর আহত হন। ঘটনার পর বাসের চালক ও শ্রমিকরা পালিয়ে গেলেও বাস এবং নসিমনটি পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনায় প্রায় এক ঘণ্টা ওই সড়কে সব প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
পরে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়রা গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে কাশিয়ানী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে এলে বদিয়ার মোল্লা ও সুমন মুন্সী মারা যান। গুরুতর আহত ৯ জনকে কাশিয়ানী উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে ৬ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে লায়েক ফকির এবং দুই জনকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে সিরাজুল মোল্লা নামে অপর একজনের মৃত্যু হয়।
পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শেখ মুকিমুল ইসলাম মুকিম জানান, নিহত ও আহত শ্রমিকরা তার ইউনিয়নের বাসিন্দা। তারা ভবন নিমার্ণকাজের ঢালাইয়ের কাজ করতে নসিমনে করে যাচ্ছিলেন। একই সঙ্গে ওই গ্রামের ৫ জন মানুষ নিহত হওয়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ ঘটনায় ওই গ্রামের আরো ৭ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে বলেও তিনি জানান।
সহকারী পুলিশ সুপার (কাশিয়ানী-মুকসুদপুর সার্কেল) আনোয়ার হোসেন ভূঞা জানান, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহম্মেদ জানিয়েছেন, নিহত ও আহত পরিবারগুলোকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাহায্য-সহযোগিতা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০
এসএইচ