ঢাকা: রূপপুর আবাসন প্রকল্পের আসবাবপত্র কেনাকাটায় ১১ কোটি টাকার অনিয়মের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আমলে নিয়েছে সরকারের একমাত্র প্রকল্প তদারকি সংস্থা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)।
সংস্থার পক্ষ থেকে শিগগিরই সরেজমিন পরিদর্শন করে তদন্ত করা হবে।
আবাসন কেনাকাটায় ১১ কোটি টাকা অনিয়ম ও তদন্ত প্রসঙ্গে আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, ‘গণমাধ্যমের খবরে জানতে পেরেছি রূপপুরে আসবাব কেনাকাটায় ১১ কোটি টাকার অনিয়ম হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করতে আমরা শিগগিরই একটি টিম পাঠাবো। অনিয়ম হয়ে থাকলে আমরা মন্ত্রণালয়কে জানাবো। ’
আইএমইডি সূত্র জানায়, আসবাব কেনায় মূল অভিযোগ হলো, সর্বনিম্ন দরদাতা পারটেক্স ফার্নিচারকে কাজ না দিয়ে হাতিল ফার্নিচারকে কাজ দেওয়া হয়। ফলে ১১ কোটি টাকা বেশি খরচ হয়েছে। পারটেক্স ফার্নিচার দর দিয়েছিল ৪৪ কোটি ৯২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দর ছিল আরএফএল প্লাস্টিক লিমিটেড, তারা ৫৪ কোটি ৮৮ লাখ ১২ হাজার টাকা এবং তৃতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা হাতিল দর দিয়েছিল ৫৫ কোটি ৯০ লাখ ৪৫ হাজার ৪১৯ টাকা। নিয়ম অনুযায়ী সর্বনিম্ন দরদাতা পারটেক্স ফার্নিচারের কাজ পাওয়ার কথা ছিল।
সূত্র জানায়, সরকারের ১১ কোটি টাকা ক্ষতি হলেও হাতিলের পক্ষেই সাফাই গেয়েছে টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটি। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি ছিলেন গণপূর্তের রাজশাহী জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী খালেকুজ্জামান চৌধুরী, সদস্য হিসেবে ছিলেন গণপূর্ত বিভাগের (পাবনা জোন) সহকারী প্রকৌশলী জাকারিয়া ইমাম, নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান খন্দকার, ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী দেবাশীষ চন্দ্র সাহা।
বাংলাদেশ সময়: ১০১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২০
এমআইএস/এইচএডি