ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মহাসড়কে খড় শুকালে জরিমানা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
মহাসড়কে খড় শুকালে জরিমানা

ঢাকা: মহাসড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং সু-শৃঙ্খল ও নিরাপদ যান চলাচলের জন্য ‘মহাসড়ক আইন, ২০২০’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, অনুমতি ছাড়া মহাসড়কে বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড বা তোরণ টাঙালে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।

মহাসড়কের সংরক্ষণ রেখার মধ্যে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করলে দুই বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। এছাড়াও মহাসড়কে খড় বা ফসল শুকালে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভার ভার্চ্যুয়ালকে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ১৯২৫ সালের হাইওয়ে অ্যাক্ট রহিত করে মহাসড়ক, নির্মাণ, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা এবং অবাধ, সু-শৃঙ্খল ও নিরাপদ যান চলাচলের জন্য নতুন আইন করা হচ্ছে। মহাসড়ের ক্ষতি কমিয়ে সড়কে স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা এবং যানবাহন চলাচলের গতিশীলতা নিশ্চিত করতে ওভারলোড নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

তিনি বলেন, মহাসড়েকর একটা ইন্টারন্যাশনাল স্টান্ডার্ড আছে কত স্প্রিডে গাড়ি চলতে পারবে। সেক্ষেত্রে আমরা যদি নিয়ন্ত্রণ না করি এবং ফ্যাসিলিটিজ মানুষকে না দেই তাহলে এ মহাসড়ক ব্যবস্থা ঠিকভাবে চালানো সম্ভব হবে না।

তিনি আরও জানান, মহাসড়কের মাঝে-মাঝে আন্ডারপাস করা হবে, সেখান দিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ সিএনজি চালিত অটো, রিকশা চলাচল করতে পারবে। সব জায়গায় আন্ডারপাসের ব্যবস্থা থাকবে না, সেক্ষেত্রে ওভারপাসের ব্যবস্থা রাখতে হবে।  

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, যেহেতু মহাসড়কের দুই পাশে সড়ক থাকবে তাই বৃষ্টির পানি বা যে কোনো পানি যেন পরিষ্কার হয়ে যায় সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।

মহাসড়কের পাশে যেন পানির ব্যবস্থা রাখা হয় আইনে সে বিষয়ে বলা আছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল বলেন, রোডের পাশে যেসব গাছ লাগানো উচিত সেসব গাছ লাগাতে হবে। কড়ই গাছ রাস্তার পাশে লাগালে ডাল-পালা সড়কে চলে আসে। সড়কে ডাল-পালা না আসে, সে ধরনের গাছ লাগাতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি জানান, প্রত্যেক মহাসড়কে লজিক্যাল দূরত্বে ফুয়েল স্টেশন ও মানুষের রিক্রিয়েশন বিশেষ করে লং ড্রাইভে যাওয়া ট্রাক চালকদের জন্য বিশ্রামের কক্ষ রাখতে হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ এসব স্থাপনা করতে জায়গা নির্ধারণ করেছে। হাইওয়েতে ৮৫ কিলোমিটার গতি নিশ্চিত করতে হবে। এটা আইনে বলা নেই, এটা নির্ভর করবে সড়কটি কোন এলাকায় তার ওপর।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল আরও জানান, মহাসড়কে ছোট যান চলতে পারবে না। পাশের সার্ভিস লেনে সেসব যানবাহন চলবে। তবে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলতে পারবে।  

তিনি জানান, মহাসড়কগুলোর মাঝখানে ডিভাইডার থাকবে। আস্তে আস্তে সব হাইওয়েগুলো চারলেন করা হবে। এক্সপ্রেসওয়ে হলে টোল দিতে হবে।  

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মহাসড়কের পাশে অবকাঠামো নির্মাণ করলে, ফসল, খড় বা পণ্য শুকালে, ক্রসিং এরিয়া বাদে অন্য জায়গা দিয়ে হাঁটলে এক থেকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। অধিদপ্তরের বিনা অনুমতিতে বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, তোরণ বা এ ধরনের কিছু মহাসড়কে টাঙালে এবং ধীরগতির যানবাহনগুলো নির্ধারিত লেন ছাড়া মহাসড়কে উঠলে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হবে।  

মহাসড়কের সংরক্ষণ রেখার মধ্যে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করলে দুই বছরের কারাদণ্ড আর স্থায়ী স্থাপনার ক্ষেত্রে পাঁচ লাখ টাকা এবং অস্থায়ী স্থাপনার ক্ষেত্রে অনধিক ৫০ হাজার টাকা দণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

** গ্যাসলাইন স্থাপনে টাঙ্গাইলে ১১ হাজার গাছ কাটার অনুমতি

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।