ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বাংলাদেশ-ভারতের পানি পর্যবেক্ষণ শুরু 

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২১
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বাংলাদেশ-ভারতের পানি পর্যবেক্ষণ শুরু 

পাবনা (ঈশ্বরদী): ঈশ্বরদীর পদ্মার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে গঙ্গা চুক্তি অনুযায়ী পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (০১ জানুয়ারি) হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে প্রায় ৮৮ হাজার ২৪৪ কিউসেক পানি পাওয়া গেছে।

গত কয়েক বছরে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি প্রবাহের চেয়ে এবার মাত্রা কম রয়েছে।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ৬ দশমিক ১৯ মিটার। এরআগে, সকাল ৯টায় পানির উচ্চতা পরিমাপ করা হয়েছিল ৬ দশমিক ২১ মিটার।  

পাবনা হাইড্রোলজি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা রইচ উদ্দিন বিকেলে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  

এদিকে দুই সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল পাবনায় এসেছে। তারা হলেন-ভেঙ্কটেশ্বর্লু কুমার এবং নাগেরার কুমার।  

অপরদিকে, নদী কমিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম সাইফুদ্দিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল ভারতে পৌঁছেছে। তারা ফারাক্কার দুটি পয়েন্টে গঙ্গার পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করবেন।

পদ্মার পাকশি হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে টিম লিডার পাবনা হাইড্রোলজি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা রইচ উদ্দিনের নেতৃত্বে ফিল্ড টিম লিডার মোরসেদুল ইসলাম, সদস্য মোফাজ্জেল হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পানি পর্যবেক্ষণ টিমে উপস্থিত ছিলেন।

পাবনা হাইড্রোলজি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা রইচ উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, পাকশি পদ্মার পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণের জন্য দুই সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল শুক্রবার (১ জানুয়ারি) বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছেন।

তিনি জানান, ১ জানুয়ারি থেকে পানিপ্রবাহ পরিমাপ শুরুর কথা থাকলেও শুক্রবার  হওয়ায় এ বছর এই কার্যক্রম এক দিন পিছিয়ে শনিবার করা হয়েছে। শনিবার (২ জানুয়ারি) পাকশি হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে ৭৮ হাজার ২৪৪  কিউসেক পানি পর্যবেক্ষণ করে পাওয়া গেছে।  
 
২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে প্রথম ১০ দিনে ফারাক্কা পয়েন্টে গঙ্গায় এক লাখ ৬১ হাজার কিউসেক পানি ছিল। এর মধ্যে বাংলাদেশের হিস্যা ছিল ৬০ হাজার ৬১ কিউসেক এবং ভারতের ৪০ হাজার কিউসেক পানি। একই সময় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির পরিমাণ ছিল এক লাখ দুই হাজার ৫৭৪ কিউসেক।
 
১৯৯৬ সালের ১ জানুয়ারি ভারতের হায়দারাবাদ হাউসে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেব গৌড়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ নিজ দেশের পক্ষে ৩০ বছর মেয়াদী পানি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুযায়ী পানির ন্যায্য হিস্যার প্রাপ্ততা নিশ্চিত করতে প্রতিবছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত দুই দেশের প্রতিনিধিদল গঙ্গা ও পদ্মার পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।