ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ভোটের দুই দিন পর পুকুর পাড়ে সিলযুক্ত ব্যালট!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
ভোটের দুই দিন পর পুকুর পাড়ে সিলযুক্ত ব্যালট!

রাজশাহী: চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত রোববার (২৬ ডিসেম্বর)। এর দুইদিন পর একটি ভোটকেন্দ্রের পাশের পুকুরে মিললো দুই শতাধিক সিল মারা ব্যালট পেপার এবং সংরক্ষিত নারী সদস্যদের ফলাফলের কাগজ।

চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের বামনদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী পুকুরে মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে মেলে এসব ব্যালট পেপার।  

সিল মারা ব্যালট পেপারগুলোর মধ্যে নৌকাসহ অন্য প্রার্থীদের ব্যালট পেপার রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এলাকার ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, শলুয়া ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র বামনদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই ওয়ার্ডে সাতজন সাধারণ সদস্য প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।  

নির্বাচনের দিন ভোট গণনার শেষ পর্যায়ে কয়েকজন ইউপি সদস্য প্রার্থীর বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা ভোটে অনিয়ম হয়েছে বলে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের অবরুদ্ধ করেন। তারা এক পর্যায়ে ককটেল ফুটিয়ে কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে। শেষ পর্যন্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  

পরবর্তীতে রাত ১২টার দিকে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী ব্যালট পেপার উদ্ধার করে নির্বাচন অফিসে জমা দেয়। এরপর ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার দুই দিন পর ওই কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী পুকুরে সিল মারা ব্যালট পেপার পাওয়া গেল।  

স্থানীয় বামনদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফুজ্জামান বাংলানিউজক বলেন, তিনি মঙ্গলবার দুপুরে মাঠে ঘাস কাটতে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুকুরে চার-পাঁচটি ব্যালট পেপার ভাসতে দেখেন। পরে পুকুর পাড়ে বামনদিঘী কেন্দ্রের নাম লেখা একটি কাগজের প্যাকেট দেখতে পান। তখন স্থানীয় লোকজনকে জানালে তারা এসে সিল মারা ব্যালট পেপার ও ফলাফলের কাগজ উদ্ধার করেন।

জানতে চাইলে নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল আলম বলেন, ভোটের দিন সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ভোট গণনা করে সিলগালা অবস্থায় ব্যালট পেপার নির্বাচন অফিসে জমা দিয়েছেন।  

ব্যালট পেপার তাদের গুনে নেওয়া সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

বামনদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ভোট গণনা করে সব ব্যালট পেপার সিলগালা করে জমা দেওয়া হয়েছে। কোথাও তার কেন্দ্রের ব্যালট পেপার উদ্ধার হয়েছে কিনা শুনেননি।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৬ ঘন্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
এসএস/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।