ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

লঞ্চে আগুন, দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২২
লঞ্চে আগুন, দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু

ঢাকা: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তামিম (৮) নামে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) তার মৃত্যু হয়।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন।

তিনি জানান, শিশুটির শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তার শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছিল। প্রথম থেকে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। সেখানেই চিকিৎসাধীন থাকার পর সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়েছে।

আইউব হোসেন জানান, এ ঘটনায় আরও একজনকে আইসিইতে রাখা হয়েছে। আর সব মিলিয়ে ভর্তি রয়েছে ১৩ জন।

এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যা আইসিইউতে মৃত্যু হয় শাহিনুর খাতুন স্বপ্না (৪০) নামে এক নারীর। আর ঘটনার পরদিন রাতে ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় হাবিব খান (৪৫) নামে এক একজন।

মৃত তামিমের দূরসম্পর্কের আত্মীয় মো. মামুন জানান, তামিম তার মা-বাবার সঙ্গে বরগুনা সদরে থাকতো। তার নানার বাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জের সুবাড্ডা এলাকায়। ঘটনার ১০-১২ দিন আগে মা জিয়াসমিন (২৮) ও ছোট বোন মাহিনুরের (৬) সঙ্গে নানার বাড়িতে এসেছিল। ওইদিন রাতে একসঙ্গে আবার বরগুনায় ফেরার সময় লঞ্চে দুর্ঘটনার শিকার হয়।

তিনি আরও জানান, প্রথমে দগ্ধ অবস্থায় তাদের বরিশাল মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে তাদের তিনজনকে ঢাকায় নিয়ে আসার পথে মাওয়া ঘাটে তামিমের বোন মাহিনুরের মৃত্যু হয়।

এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর দিনগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকার সুগন্ধা নদীতে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৪১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২১
এজেডএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।