কক্সবাজার: কক্সবাজার শহরের শহীদ স্মরণীতে মাত্র ৩০ গজের মধ্যেই বিএনপি ও যুবলীগ পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। ভোর থেকে অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার দুপুরে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে মহাসমাবেশ করার প্রস্তুতি নেয় বিএনপি। সকাল থেকে সেখানে জমায়েত হতে শুরু করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন সড়ক উপসড়ক হয়ে নেতাকর্মীদের দল মিছিল ঈদগাহ ময়দানে অবস্থান নেয়।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ঈদগাহ ময়দানে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রচুর সদস্য। সেখানে বাধার মুখে কিছুক্ষণের মধ্যেই সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, রাতের আঁধারে ভোট কারচুপি ক্ষমতায় আসায় জনগণের প্রতি সরকারের আস্থা নেই। তাই বিএনপির সাংবিধানিক অধিকারও হরণ করছে তারা।
সোমবার ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কক্সবাজার শহরে অবস্থিত বিএনপি অফিস সংলগ্ন শহীদ স্মরণী সড়ক ও আশপাশের ২০০ মিটার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। রোববার সন্ধ্যায় ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান।
১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি রোববার রাতে শহরে মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে ১৪৪ ধারা ভেঙে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেয় জেলা বিএনপি।
এজন্য দলটি ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়। অন্যদিকে জেলা যুবলীগ কক্সবাজার শহরের শহীদ দৌলত ময়দানে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহাজাহান চৌধুরী বলেন, প্রায়ই একমাস আগে থেকে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। সেজন্য জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। এ মহাসমাবেশ বিকল্প উপায়ে আমরা করব।
অপরদিকে কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর বলেন, শহীদ মিনার সড়কে জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। আমরা প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে সম্মান দেখিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানস্থল পরিবর্তন করেছি। আমারা শহীদ দৌলত ময়দানে অনুষ্ঠানটি করছি।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কক্সবাজার শহরের প্রবেশদ্বার থেকে পুরো শহরের প্রতিটি পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ভোর থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে জেলা পুলিশের।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২২
এসআইএস