ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অর্থায়ন বন্ধকারীরা পদ্মা সেতু দেখে লজ্জিত হবেন: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২২
অর্থায়ন বন্ধকারীরা পদ্মা সেতু দেখে লজ্জিত হবেন: তথ্যমন্ত্রী তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

ঢাকা: পদ্মা সেতুতে যারা অর্থায়ন বন্ধ করেছিল তারা নিশ্চয়ই পদ্মা সেতু দেখে লজ্জিত হবেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  

সোমবার (০৩ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকতা পেশার মানদণ্ড বিষয়ে প্রেস কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠকে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

 

এ সময় তথ্যসচিব মকবুল হোসেন, প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে কাউন্সিলের সদস্য ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, মনজুরুল আহসান বুলবুল, সেবিকা রানীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পদ্মা সেতু নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু একটি স্বপ্নের সেতু, ইতোমধ্যে সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তার ছোট বোনকে নিয়ে পদ্মা সেতুর এপার থেকে ওপারে গাড়ি চালিয়ে গেছেন। সেখানে খুশিতে দুই কিলোমিটার হেঁটেছেন। গাড়িয়ে চালিয়ে ওপার থেকে এসেছেন, তার মানে পদ্মাসেতু হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, পদ্মাসেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। দেশি-বিদেশি বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে। খালেদা জিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনো পদ্মা সেতু করতে পারবে না, যদিও করে জোড়াতালি দিয়ে একটি সেতু হবে। সব সেতু কিন্তু জোড়া দিয়েই হয়। পৃথিবীর সব সেতুই জোড়া দিয়েই হয়। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু পদ্মা সেতুর এপার থেকে ওপারে গেছেন, ওপার থেকে এপারে এসেছেন, এখন বিএনপি নেতারা কি বলবে সেটির অপেক্ষায় আছি।  

তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা কখন পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাবেন সেটির জন্য বসে আছি। কারণ তারা এই সেতু নিয়ে অনেক বিরূপ মন্তব্য করেছেন। আরও অপেক্ষায় আছি বিশ্ব ব্যাংকের যারা এই সেতু থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন আমরা আশা করছি তারাও পদ্মা সেতু দেখে আসবেন। একটি দেশ আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকে উপড়ে ফেলে কীভাবে এমন একটি সেতু করতে পারে। যারা এই পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করেছিল তারা নিশ্চয়ই পদ্মা সেতু দেখে লজ্জিত হবেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বহুমাত্রিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছেন। আমাদের দেশে যেভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে সেটি অনেক উন্নয়নশীল দেশে নেই। উন্নত দেশগুলোতেও মত প্রকাশের স্বাধীনতা যেমন আছে, সেখানে জবাবদিহিতাও আছে। কোনো বিরোধের উদ্ভব হলে সেটি প্রেস কাউন্সিল নিষ্পত্তি করে থাকে। কিন্তু বিদ্যমান প্রেস কাউন্সিল আইনে প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা খুবই সীমিত। প্রেস কাউন্সিলের জরিমানা করার ক্ষমতা নেই। আমরা আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছি যাতে প্রেস কাউন্সিল জরিমানা করতে পারে। ক্ষমতাও বাড়ানো হবে। আইন সংশোধন করে খসড়া মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয়েছে।

গণমাধ্যম কর্মী আইন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইনে আইনমন্ত্রী সই করেছেন। রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছি, রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করলে সেটি সংসদে পাঠিয়ে দেব। এই মাসে শীতকালীন অধিবেশনে উপস্থাপন করা হবে। সংসদীয় কমিটি মতামত দেবে। গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত সবার জন্যই এই আইন। এই আইন গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষা দিতে পারবে।

বিএনপি মহাসচিব হুমকি দিয়ে বলেছেন, ২০২২ সালই হবে সরকারের শেষ সময়। এর প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, এমন আল্টিমেটাম তো গত ১৩ বছর ধরে পেয়ে আসছি। এই সাল সেই সাল, এই ঈদ, ঈদের পরেই হবে, বর্ষার পরেই হবে, শীতের পরে এই হবে। এ রকম তো মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা বারবারই বলে আসছেন। তাদের এ কথাগুলো ফাঁকা কলসী বেশি বাজে ঠিক সেরকম।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২২
জিসিজি/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।