ঢাকা, শুক্রবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

রাজশাহীতে আগুনে ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২২
রাজশাহীতে আগুনে ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি আগুনে ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় পুরো এলাকা। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীর কাদিরগঞ্জ গ্রেটার রোড মসজিদ এলাকায় ফোম ও বোর্ডের গুদামে আগুন লেগে ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ফোম, পারটেক্স বোর্ড ও গুদামের বিভিন্ন মালামাল রয়েছে।

তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকাল সোয়া ১০টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ১০টা ২২ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ছয়টি ইউনিট। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতা বাড়তে শুরু করলে যুক্ত করা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ফায়ার সার্ভিস, বিমানবন্দর ফায়ার সার্ভিস ও মহানগর-উত্তর (কাশিয়াডাঙ্গা) ফায়ার সার্ভিসের আরো তিনটি ইউনিট।

দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট। আগুন নেভানোর পর দুপুর পর্যন্ত ডাম্পিংয়ের কাজ চলে ক্ষতিগ্রস্ত ওই গুদামে। তবে আবাসিক ভবনগুলোতে ছড়াতে পারেনি আগুন। ফলে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন আবাসিক ভবনে বসবাসরত বাসিন্দারা।

আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।  ছবি: বাংলানিউজ

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই ফোম ও পারটেক্স বোর্ডের গুদামটি স্থানীয় শহিদুল ইসলাম বাচ্চুর। মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করতে সুইচ অন করেন। এরপরেই বৈদ্যুতিক বোর্ডে আগুন ধরে যায়। বোর্ডের পাশেই ফোম, পারটেক্স বোর্ড, আঠা এবং কেমিক্যাল ছিল। সেখান থেকে আগুন দ্রুত পুরো গুদামে ছড়িয়ে পড়ে।

ওয়েল্ডিংয়ের কাজে জড়িত শরীফ নামের এক শ্রমিক বাংলানিউজকে জানান, সকালে পাঁচজন শ্রমিক গোডাউনে ওয়েল্ডিংয়ের কাজের জন্য যান। তারা ওয়েল্ডিংয়ের কাজ শুরু করতে সুইচ অন করেন। হঠাৎ আগুন লাগলে শ্রমিকরা প্রথমে নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এরপর খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায় এবং আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে।  

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দপ্তরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুর রউফ বলেন, আমাদের খবর দিতে দেরি করা হয়েছে। আমরা খবর পেয়ে দুই মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। কিন্তু ততক্ষণে আগুনের ভয়াবহতা বেড়ে যায়। তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে। গুদামের ভেতরে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানান তিনি।

গুদামের ভেতর পুড়ে যাওয়া পারটেক্স বোর্ড।  ছবি: বাংলানিউজ

অপর এক প্রশ্নের জবাবে আবদুর রউফ বলেন, ওই গুদামের মধ্যে আরেকটি ঘর তৈরি করা হচ্ছে। এর কাজ করতে সকালে ওয়েল্ডিং মেশিনের সুইচ অন করেন শ্রমিকরা। কিন্তু দুর্বল ওয়ারিংয়ের কারণে শট সার্কিট হয়ে বোর্ডে আগুন লেগে যায়। পরে ফোম, পারটেক্স বোর্ড এবং সোফার কাজে ব্যবহৃত আঠা জাতীয় কেমিক্যাল থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং প্রায় ৫০ লাখ টাকার সম্পদ উদ্ধার করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম বলেন, গুদামে ফোম, আঠাসহ দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। এতে দেরি হয়েছে এবং ক্ষতির পরিমাণও বেড়েছে। এছাড়া এলাকাটি অপ্রশস্ত গলিপথের মধ্যে। এজন্য ঘটনাস্থলে পানি পৌঁছাতেও দেরি হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২২
এসএস/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।