ঢাকা, রবিবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

পুলিশ স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে স্বজনদের বিক্ষোভ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২২
পুলিশ স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে স্বজনদের বিক্ষোভ বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: বাংলানিউজ

নোয়াখালী: স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা ও সহায়তার দায়ে অভিযুক্ত উপ পরিদর্শক (এসআই) স্বামীর বিচারের দাবিতে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন নিহত গৃহবধূর স্বজনরা।

রোববার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

অভিযুক্ত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান (৩৬) চট্টগ্রাম জেলার আরআরএফ এ সংযুক্ত রয়েছেন। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সদর উপজেলার বিনোদপুরে।

নিহত ফাতেমা আক্তার কলি (২৫) নোয়াখালীর সদর উপজেলার কাদির হানিফ গ্রামের টোকেনের বাড়ির আহছান উল্যার মেয়ে।

রোববার (২৭ মার্চ) সকালে নিহতের বাবা আহছান উল্যাহ বাদী হয়ে তার মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা ও সহায়তার দায়ে মেয়ের স্বামীসহ পাঁচজনকে আসামি করে চট্টগ্রামের হালিশহর থানায় মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের হালিশহরের শান্তিবাগের ৮ নম্বর রোড়ের হক সাহেবের বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে পারিবারিকভাবে সুধারাম থানার বিনোদপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয় কলির। তারা স্বামী-স্ত্রী এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে চট্টগ্রামের হালিশহরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করত। স্বামী বদমেজাজী হওয়ায় অকারণে কলিকে মারধর করত। এছাড়া স্বামীর সঙ্গে তার বন্ধু বাদশার স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে কলি তার বাবাকে জানায়। তার স্বামী অবৈধ পথে অনেক টাকা উপার্জন করতো বলেও জানায় সে।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, এসব নিয়ে নিহত কলি তার স্বামীকে বোঝানোর চেষ্টা করলে সে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করত। কয়েক মাস আগেও তাকে বেধড়ক পেটায় তার স্বামী। তখন তার মা তাদের চট্টগ্রামের বাসায় গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে। এসব ঘটনা কলি তার মা-বাবাকে জানালে তাকে হত্যার হুমকি দেয় এসআই স্বামী মিজানুর।  

গত শুক্রবার (২৫ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে মিজানুর তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে জানায় কলি অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি আছে। পরে কলির বাবা হালিশহর থানায় গিয়ে জানতে পারেন তার মেয়ে মারা গেছে এবং মরদেহ চমেক হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহ আনতে গিয়ে নিহত কলির শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান বলে মামলায় উল্লেখ করেন তার বাবা।

সুধারম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রামের হালিশহরে নোয়াখালীর এক মেয়ে আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে তার স্বামীর শাস্তির দাবিতে জেলা শহর মাইজদীতে মরদেহ নিয়ে নিহতের স্বজনেরা একটি বিক্ষোভ মিছিল করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।