লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে সুপারি চুরির অভিযোগে চয়ন চন্দ্র (১৩) নামে এক কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় দিলিপ চন্দ্র (৩৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (১০ এপ্রিল) বিকেলে সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
এর আগে শনিবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে জেলা সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের দক্ষিণ হিরামানিক এলাকায় চুরির অভিযোগে কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
চয়নকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েও পড়েছে। কিশোর চয়ন চন্দ্র ওই গ্রামের মিন্টু চন্দ্রের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ হিরামানিক এলাকার প্রিয় নাথ রায়ের গাছের সুপারি শনিবার দুপুরে চুরি করে নিয়ে যায় চয়ন। এমন অভিযোগে প্রিয় নাথ রায় ও তার ছেলে রবিন চন্দ্র রায় বিকেলে চয়নের বাড়ি গিয়ে তাকে ধরে নিজ বাড়ি নিয়ে আসেন।
পরে গাছের সঙ্গে দুই হাত বেঁধে নির্যাতন শুরু করেন। একপর্যায়ে চয়ন অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। চয়নকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
এ ঘটনায় আহত চয়ন চন্দ্রের বাবা মিন্টু চন্দ্র বাদী হয়ে রোববার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এজাহার নামীয় দিলীপ চন্দ্রকে বিকেলে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ দিকে রোববার বিকেলে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিশোর চয়নকে দেখতে যান লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন। এ সময় তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর এবং ন্যায় বিচারের আশ্বাস দেন তারা।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বাংলানিউজকে জানান, নির্যাতিত কিশোরের বাবার দায়ের করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে দিলীপ নামে এজাহার নামীয় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
** সুপারি চুরির অভিযোগে কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২২
আরএ