ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যমুনা নদীর ইকোনিক করিডোর উন্নয়নে কাজ করছে সরকার 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২২
যমুনা নদীর ইকোনিক করিডোর উন্নয়নে কাজ করছে সরকার 

ঢাকা: যমুনা নদীর ইকোনিক করিডোর উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা। এই নদীর ইকোনিক করিডোর উন্নয়ন আরো অনেক আগেই হওয়ার কথা ছিল কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় রাজনৈতিক নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তা করা সম্ভব হয়নি বলেও তারা জানান।

সোমবার (১১ এপ্রিল) রাজধানী রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)'র শহীদ প্রকৌশলী ভবনের কাউন্সিল হলে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে যমুনা নদীর ইকোনমিক করিডোর উন্নয়ন: সম্ভাবনা, প্রতিবন্ধকতা এবং কৌশল প্রণয়ন শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং উপ-কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মতিয়া চৌধুরী বলেন, যমুনা নদীর উন্নয়নের করিডোর অনেক আগেই হওয়ার কথা ছিল। এমনকি শাখা নদীগুলোরও করিডোর উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিএনপি জামায়াত জোটের রাজনৈতিক নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এখন এই উন্নয়ন করিডোর বাস্তবায়ন করতে প্রকৌশলীদের সহযোগিতা লাগবে, একইসঙ্গে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও লাগবে।

তিনি বলেন, যেকোনো কানেক্টিভটি দেশের উন্নয়নের দুয়ার খুলে দেয়। যমুনা নদীর ইকোনিক করিডোর উন্নয়নের কথা চিন্তুা করেই দুপাশের স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। এই করিডোর শুধু বাংলাদেশের মাঝে পণ্য পরিবহনে অবদান রাখবে, তা নয়। এই করিডোর বিদেশেও পণ্য পরিবহন করতে সহায়তা করবে।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, যমুনা নদী ঘিরে বাণিজ্য ও শিল্পায়নের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। যমুনা নদীর ইকোনমিক করিডোর উন্নয়ন করতে পারলে শিল্পায়ন গড়ে উঠবে। সেই সম্ভাবনাকে সামনে রেখে যমুনা নদীর ওপর সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প চলমান আছে। যমুনার তীরকে অথনৈতিক জোন হিসেবে কাজে লাগাতে না পারা দুঃখজনক। যমুনা নদীর করিডোরকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় সে লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।  

স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরে নদী ও বন্যা ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দিয়েছিলেন। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও পানি ব্যবস্থাপনা, নদী খনন, পানি নিষ্কাশন ও নদী শাসনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। একশ বছর পরের বাংলাদেশের জন্য তিনি 'ডেল্টাপ্ল্যান ২১০০' দিয়েছেন।  

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পানি সম্পদ বিশেষজ্ঞ এবং রয়েল মিলিটারি কলেজ, কানাডার সংযুক্ত অধ্যাপক ড. এস এম হাবিবুল্লাহ বাহার, পি.ইঞ্জ.। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডর মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ফজলুর রশিদ।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রফেসর ড. মো. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে সেমিনার সঞ্চালনা করেন উপকমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার রনক আহসান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২২
এসকে/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।