ঢাকা: পণ্যের মান সনদ দেওয়ার পাশাপাশি পণ্যের হালাল সার্টিফিকেট দেওয়া শুরু করেছে মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।
সোমবার (১১ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানে হয়।
হালাল সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রতিনিধিসহ বিএসটিআই’র মহাপরিচালক (গ্রেড -১) ড. মো. নজরুল আনোয়ার এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ৩টি প্রতিষ্ঠানের ৯টি পণ্যের হালাল সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। বিএসটিআই মহাপরিচালক (গ্রেড-১) এর কাছ থেকে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (ইউনিট-১) পক্ষে হালাল সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন নির্বাহী পরিচালক মদদ আলী ভিরানী, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (ইউনিট-২) পক্ষে হালাল সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন পরিচালক তানভীর আলী এবং অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (ইউনিট-৪) পক্ষে হালাল সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার নজরুল ইসলাম।
বিএসটিআই থেকে হালাল সার্টিফিকেট গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান ও পণ্যসমূহের মধ্যে রয়েছে—অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (ইউনিট-১) ওয়েফার বিস্কুট, লজেন্স, প্লেইন কেক ও টফি; অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (ইউনিট-২) ওয়েফার বিস্কুট, চকলেট এবং অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (ইউনিট-৩) ইনস্ট্যান্ট নুডলস এবং চিপস/ক্রেকার্স।
অনুষ্ঠানে বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক ড. মো. নজরুল আনোয়ার বলেন, বিএসটিআই পণ্যের অনুকূলে হালাল সার্টিফিকেট দেওয়া আজ থেকে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হলো। হালাল সংক্রান্ত প্রশ্নের ৩টি আন্তর্জাতিক মানকে বাংলাদেশ মান হিসেবে (বিডিএস ওআইসি/এসএমআইআইসি ১, বিডিএস ওআইসি/এসএমআইআইসি ২ এবং বিডিএস ওআইসি/এসএমআইআইসি ২৪: ২০২১) অ্যাডপ্ট করেছে এবং উক্ত মান অনুসারে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পণ্যের হালাল সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। এখন বিএসটিআই থেকে হালাল সার্টিফিকেট দেওয়ার ফলে ব্যবসায়ীরা একটি পয়েন্ট থেকে পণ্যের মান সনদ ও হালাল সার্টিফিকেট পাবেন।
তিনি বলেন, ওআইসিভুক্ত দেশসমূহের হালাল মানসনদ বিষয়ক সংস্থার (এসএমআইআইসি) সদস্য হিসেবে এবং দেশীয় পণ্যের রপ্তানি সম্প্রসারণের জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হালাল সার্টিফিকেট দেওয়ার প্রক্রিয়ার সাথে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর, জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর, এফবিসিসিআই, বিসিআই, ডিসিসিআই, ক্যাব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, ফার্মেসি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ও মাদ্রসা-ই-আলিয়া, কওমি মাদ্রাসার বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২২
জিসিজি/এমজেএফ
