ঢাকা, বুধবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নীলফামারীতে সন্ধান মিললো মস্তবড় কড়াইয়ের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২২
নীলফামারীতে সন্ধান মিললো মস্তবড় কড়াইয়ের

নীলফামারী: নীলফামারীর জলঢাকায় শতবছরের একটি মস্তবড় কড়াইয়ের সন্ধান মিলেছে।  

এটি সেসময়কার জমিদার বাড়িতে ব্যবহার হয়েছিল বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

মস্তবড় এ কড়াই দেখার জন্য মানুষের ভিড় বেড়েই চলেছে।  

জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের তহশিলদারপাড়া এলাকার আলহাজ এমদাদুল হকের বাড়িতে শেকলে দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে কড়াইটি।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর থেকে নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে কড়াইটি। তবে স্মৃতি হিসেবে নিজেদের কাছে রেখে এটিকে উন্মুক্ত করে দিতে চান পরিবারটি।  

কড়াই নিয়ে এরশাদ বিন এমদাদ বলেন, ‘আমার বাবা এমদাদুল হকের দাদা হাতি পালতেন। সে সময়ে নদীর পানি হাতিকে খাওয়াতে ভারতের শিলিগুড়ি থেকে কড়াই কিনে এনেছিলেন তিনি। কড়াইটি ব্যক্তিগত, তাই নিজেরাই এটি সংরক্ষণ করতে চাই। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এটির স্বীকৃতি দিয়েছে। বাড়ির সামনে বাগান করব। সেখানে কড়াইটি আরও সুন্দরভাবে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে রাখা হবে। ’

স্থানীয় বাসিন্দা নূর আলম বলেন, ‘কড়াইটি প্রশাসন নিয়ে যেতে চেয়েছিল। তখন প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করা হয়। আমরা চাই কড়াইটি এলাকাতেই থাক। কারণ এটি দেখতে এখন বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন আসে। ’

রহিদুল ইসলাম নামে আরেক প্রতিবেশী বলেন, ‘কড়াইটি এখন এলাকার জন্য একটি ইতিহাস। এত বড় কড়াই আগে কখনও দেখিনি। জমিদারি কড়াই এটি। শুনেছি পরিবারটি আগে হাতি পালত। ’ 

একই কথা বলেন, আব্দুস সালাম নামে আরেক প্রতিবেশি। তিনি বলেন, মস্তবড় এ কড়াই দেখার জন্য মানুষজন ভিড় করছেন ওই বাড়িতে।  

এমদাদুল হকের বড় ছেলে ইকবাল বিন এমমাদ জানান, কড়াইটির ভেতরের ব্যাস ৭ ফিট। শত বছরের পুরনো, তাই অনেক ক্ষয় হয়েছে।

রংপুর জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘১০০ বছরের পুরনো এটি। জাদুঘরে সংরক্ষণ করার কথা। এ কারণে প্রশাসনকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। পুরাকীর্তি সংরক্ষণ ব্যক্তিগতভাবে করা যায় না। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।