ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে সরাসরি অর্থ-পাচার হয় এমন তথ্য না থাকলেও প্রবাসীদের এ কর্মকাণ্ডের খবর আছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে।
শুক্রবার (১০ জুন) বিকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে সরাসরি অর্থ-পাচার হয় এমন তথ্য বিএফআইইউ’র কাছে নেই। তবে বিদেশে থাকা বাংলাদেশিরা (প্রবাসী) এক দেশ থেকে অন্য দেশে অর্থ-পাচার করে, এমন তথ্য আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, আমার কাছে অর্থ-পাচারের তথ্য না থাকলেও অর্থমন্ত্রীর কাছে আছে। টাকার ধর্ম আছে, যেখানে টাকা সুযোগ-সুবিধা বেশি পায় সেখানেই টাকা চলে যায়।
এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী বলেন, টাকার একটা ধর্ম আছে, একটা বৈশিষ্ট্য আছে। টাকা যেখানে বেশি সুখ পায় সেখানে চলে যায়। টাকা কেউ শোকেসে করে পাচার করেন না। বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে পাচার হয়। সেই জায়গা থেকে আমরা দায়িত্ব নিয়েই এ কাজটা করতে যাচ্ছি।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, জার্মানি, ফ্রান্সসহ অনেক দেশ তাদের পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার সুযোগ দিয়েছে। বিশ্বে কখনো কখনো টাকা পাচার হয়ে যায়। টাকা পাচার হয় না এটা আমি কখনো বলিনি। কিন্তু কোনো তথ্য না দিয়ে বলা ঠিক না। পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য আছে। অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং অনেকে জেলেও আছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, এনবিআর চেয়ারম্যান রহমতুন মমিন, অর্থ বিভাগের সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৯ জুন) কোভিড-১৯ অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরে সেটি সংশোধিত হয়ে আকার কমে দাঁড়ায় ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২২
জিসিজি/এমজে