সিলেট: বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে রাত দুই ঘণ্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন এলাকার সাধারণ জনগণ।
রোববার (১৭ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর ইউপির খাশিকাপন পল্লী বিদ্যুতের সাবস্টেশনের সামনে সড়ক অবরোধ করেন এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী গ্রাহকরা সড়ক অবরোধ করে পল্লী বিদ্যুতের ওসমানীনগর কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরীর অপসারণ এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানান।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে ওসমানীনগর ও বিশ্বনাথসহ বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট চরমে পৌঁছেছে। রাতদিন অর্ধেক সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না।
অবরোধকারীরা জানান, শুক্রবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে দক্ষিণ সুরমা, ওসমানীনগর ও বিশ্বনাথ উপজেলার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে ভ্যাপসা গরমে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে বেশিরভাগ মানুষকে। শনিবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭ টায় একবার বিদ্যুতের দেখা মিললেও দিনে কয়েকবার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসার পর রাত ১১টার দিকে ফের লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হয়।
একইভাবে রোববার (১৭ জুলাই) সকাল ৮টায় বিদ্যুৎ এলেও আধা ঘণ্টা পর ফের চলে যায়। বিকেল ৩টা পর্যন্ত টানা দুই ঘণ্টাও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্থায়ী হয়নি। এ কারণে প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেন তারা।
প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধের পর ওসমানীনগর থানা পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে যানচলাচল স্বাভাবিক করে দেওয়া হয়।
ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনা মিয়া বলেন, বিদ্যুতের দাবিতে জনতা মহাসড়ক অবরোধ করেন। ফলে অবরোধস্থলের দুই দিকে অন্তত ১০ কিলোমিটার সড়কজুড়ে যানজট হয়। আমরা অবরোধকারীদের বুঝিয়ে অনুরোধ করায় অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সিলেটের ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এসএম মাঈন উদ্দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে বলেন, রাজনৈতিক নেতারা বিক্ষুব্ধ জনতাকে বুঝিয়ে অবরোধ তুলে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২২
এনইউ/এসআইএস